অনলাইন ডেস্ক : রাজ্য সরকারের বিভিন্ন বিভাগে তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণীর পদে নিযুক্তির ক্ষেত্রে স্থানীয়দের অগ্রাধিকারের উপর জোর দিলেন সারা অসম কর্মচারী পরিষদের মুখ্য উপদেষ্টা বাসব চন্দ্র কলিতা। তার কথায়, সরকার কেন্দ্রীয়ভাবে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড গঠন করে তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণীর পদে নিযুক্তির জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের যে পদক্ষেপ নিয়েছে এতে কোনও সমস্যা নেই। তবে এই স্তরের পদসমূহে নিযুক্তিতে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দেওয়াটাই বাঞ্ছনীয়।
রবিবার ঘুঙ্গুরে অনুষ্ঠিত অল অসম ভেটেরিনারি ফিল্ড এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের
দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে শিলচরে আসেন কলিতা। অধিবেশনের কার্যসূচির ফাঁকে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের ভূমিকা প্রার্থী বাছাই করা । এই তালিকার ভিত্তিতে নিযুক্তি দেওয়ার সময় সরকার জেলা ভিত্তিক স্থানীয় প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দিলে এনিয়ে কোনও সমস্যাই থাকবে না। সঙ্গে অবশ্য তিনি এও বলেন, হয়তো সব ক্ষেত্রে একশ শতাংশ স্থানীয়দের নিযুক্তি দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। তবে বাছাই হওয়া তালিকা থেকে ভেবেচিন্তে সিংহভাগ স্থানীয়দের নিজ নিজ জেলায় নিযুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতেই পারে। আর এই স্তরের পদের ক্ষেত্রে এমনটা হওয়াই বাঞ্চনীয়।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে স্থানান্তরের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ নিয়ে এক আইন প্রণয়নের কথা জানানো হয়েছে সাম্প্রতিক বাজেট অধিবেশনে। সরকারের কর্তাব্যক্তিরা এনিয়ে মুখে যে কথা বলছেন এতে কর্মচারী পরিষদের কোনও আপত্তি নেই। তবে একটা শঙ্কা থেকে যাচ্ছে অবশ্যই, এই আইন প্রণয়ন হলে শেষ পর্যন্ত না তা আবার একাংশ উচ্চপদস্থ আধিকারিক বা রাজনৈতিক নেতার প্রতিহিংসা মেটানোর হাতিয়ার হয়ে উঠে।
ব্যাপারটা খোলসা করে তিনি বলেন, এই কাছাড় জেলায়ই সাম্প্রতিক অতীতে আই ডব্লু টির ৪৬ জন কর্মীকে ডেপুটেশনে একযোগে অন্য বিভাগে পাঠানো হয়েছিল। পরবর্তীতে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে তারা বহাল রয়েছেন আইডব্লুটি-তেই। এবার বাজেট অধিবেশনে ঘোষণা করা হয়েছে এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে বদলি নিয়ে আইন প্রণয়ন করা হবে। এ নিয়ে সরকারের বক্তব্য, দক্ষ কর্মীদের প্রয়োজন সাপেক্ষে যাতে অন্য বিভাগে নিয়ে কাজ করানো যায় এর জন্যই এমন আইন আনা হচ্ছে। যদিও ব্যাপারটা খুবই স্পর্শকাতর, এবং এক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ প্রতিহিংসা মিটিয়ে কর্মীদের হয়রানি করতে বদলির উদাহরণ খুব কম কিছু নেই। আর এবার আইন হলে একাংশ উচ্চপদস্থ আধিকারিক বা রাজনৈতিক নেতা যে এর সুযোগ নিতে চাইবেন না এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। তাই আইন প্রণয়ন করার সময় একথা মাথায় রাখতে হবে অবশ্যই, যাতে করে এর মাধ্যমে প্রতিহিংসা মেটানোর কোনও সুযোগ না থাকে।
কথার সূত্রে কর্মচারী নেতা নতুন পেনশন নীতি নিয়েও সরব হন। বলেন এই নীতির দরুন কর্মচারীদের অবসর জীবনে বিপাকে পড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সরকারকে অবশ্যই পুরনো পেনশন নীতি ফিরিয়ে আনতে হবে, যাতে করে কর্মচারীরা তাদের অবসর জীবন কাটাতে পারেন নিশ্চিতে।