অনলাইন ডেস্ক : তোপখানা জিপির সভাপতি মিয়া খান কংগ্রেস ত্যাগ করেছেন বলে খবরের সূত্র ধরে বর্তমানে চর্চা চলছে। খবর অনুযায়ী,মিয়া খান বর্তমানে ভিড়তে চাইছেন শাসক দল বিজেপিতে। এরই মাঝে ওই জিপিতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগকে ঘিরেও জিপির বাসিন্দাদের মধ্যে চর্চার যেন শেষ নেই।
অভিযোগ উঠেছে ২০২০-২১ অর্থবছরে জিপির সাত হতদরিদ্র বাসিন্দার নামে মঞ্জুর হওয়া প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে অন্যদের দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে নাম জড়িয়েছে সভাপতি মিয়া খান সহ জি পি সচিব জাফারুল ইসলাম বড়ভূঁইয়ার।
অভিযোগ অনুযায়ী, জালিয়াতি করে জসিমউদ্দিন লস্কর নামে এক ব্যক্তির নামে মঞ্জুর হওয়া প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর জসিম উদ্দিন হাজারী নামে অন্য একজনের নামে ট্রান্সফার করিয়ে টাকা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। একইভাবে মইন উদ্দিন মজুমদারের নামের প্রধানমন্ত্রী আবাস আসাই মিয়া মজুমদারের নামে এবং রঞ্জু হোসেন লস্করের স্থলে রাহুল হোসেন লস্কর, নজরুল মজুমদারের স্থলে সাবিনা ইয়াসমিন মজুমদার, সুনীল কুমারের স্থলে সানাল উদ্দিন বড় ভূঁইয়া, আজির হোসেন বড়ভূঁইয়ার স্থলে কুতুব উদ্দিন বড় ভূঁইয়া এবং ইসুব খানের স্থলে কোনও এক ইউসুব খানের নামে প্রধানমন্ত্রী আবাস ট্রান্সফার করিয়ে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে অর্থ।এই অভিযোগ নিয়ে সম্প্রতি সরকারি স্তরে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
বর্তমানে মিয়া খানের কংগ্রেস ত্যাগের খবরের সূত্র ধরে জিপি জুড়ে চর্চা চলছে তবে কি এই দুর্নীতি চাপা দিতে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে শাসক দল বিজেপিতে ভিড়তে চাইছেন। এনিয়ে মিয়া খানকে জিজ্ঞেস করলে তিনি অবশ্য এমন চর্চা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ঠিক। তবে এর সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই। এ নিয়ে তিনি নিজেই তদন্ত চেয়েছেন। যা ইতিপূর্বে সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। তাই দুর্নীতি হয়ে থাকলে যে বা যারা দোষী তাদের শাস্তি হোক অবশ্যই। কিন্তু এর সঙ্গে তার নাম জড়ানো অর্থহীন।
আর তার শাসক দল বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে যে চর্চা শুরু হয়েছে, এ নিয়ে তিনি বলেন, সাংগঠনিক কিছু কারণে কংগ্রেস ত্যাগ করেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে অন্য কোনও দলে যাবেন কিনা এখনও সিদ্ধান্ত নেননি।তার জিপির ভোটারদের মতামত নিয়েই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।