অনলাইন ডেস্ক : ফের প্রধানমন্ত্রীকে সাঁড়াশি ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র । গুজরাট দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র ব্লক করা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীকে একহাত নিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ । এক টুইট বার্তায় মহুয়া লেখেন, ‘ভারতে কেউ যাতে বিবিসির শো দেখতে না পারে তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার যেন যুদ্ধে নেমেছে। লজ্জা লাগে যে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের সম্রাট ও দরবারীরা এতটাই নিরাপত্তাহীন।’ উল্লেখ্য, বিভিন্ন ইস্যুতেই মোদী সরকারকে ধারাবিহক ভাবে তোপ দেগে থাকেন মহুয়া। এই আবহে বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে আক্রমণ শানানোর সুযোগ হাতছাড়া করেননি এই সাংসদ। অপরদিকে আজ আরও একটি টুইট করে মোদীকে নিয়ে তৈরি সেই তথ্যচিত্রের একটি লিঙ্ক পোস্ট করেছেন। অপরদিকে তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনও আক্রমণ শানান বিজেপি সরকারকে।ডেরেকের কথায়, এক ঘণ্টার এই তথ্যচিত্রে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সংখ্যালঘুদের নিয়ে মনোভাব ‘বেআব্রু’ হয়ে গিয়েছে। তথ্যচিত্রের লিঙ্ক সমেত একটি টুইট পোস্ট করার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর টুইটটি ডিলিট করা হয়। টুইট মুছে ফেলার কারণ জানিয়ে তাঁকে একটি মেল পাঠানো হয়েছিস টুইটারের তরফে। মেলটির স্ক্রিনশটও তিনি পরবর্তী একটি টুইটে শেয়ার করেন। তাতে বলা হয়, ভারত সরকারের অনুরোধেই তাঁর টুইটটি মুছে ফেলা হয় ডেরেক এই ঘটনাকে ‘সেন্সরশিপ’ আখ্যা দেন। এদিকে বিদেশমন্ত্রকে মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বিবিসির এই তথ্যচিত্র নিয়ে বলেন, ‘এই তথ্যচিত্রটির পিছনে নির্দিষ্ট অ্যাজেন্ডা রয়েছে।’ প্রসঙ্গত, ‘ইন্ডিয়া:দ্য মোদী কোয়েশ্চন’-এর দুই পর্বে ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় মোদীর ‘ভূমিকা’ তুলে ধরা হয়েছে। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকও জানিয়েছেন, এই তথ্যচিত্রের মোদীর চরিত্রায়ণের সঙ্গে তিনি একমত নন। অভিযোগ, এই তথ্যচিত্রটিতে প্রধানমন্ত্রী তথা গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘ভুল চরিত্রায়ণ’ হয়েছে। তবে বিবিসি জানিয়েছে, এই তথ্যচিত্রে বহু মানুষের প্রতিক্রিয়া নেওয়া হয়েছে। তাতে যেমন প্রত্যক্ষদর্শী ও বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন, তেমনই বিজেপির সদস্যদের প্রতিক্রিয়াও আছে। পরে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সচিবের তরফে ইউটিউব ও টুইটারে সেই তথ্যচিত্র সংক্রান্ত যাবতীয় ভিডিয়ো সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই তথ্যচিত্রের লিঙ্ক সম্বলিত ৫০টিরও বেশি টুইট ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র।