অনলাইন ডেস্ক : হাতে মাত্র কয়েকটা দিনই শেষ। চূড়ান্ত একটা ক্লাইম্যাক্সর পথেই এগিয়ে চলেছে শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থার বহু প্রতিক্ষিত তথা বিতর্কিত দ্বি – বার্ষিক সাধারণ সভা। লাভ ক্ষতির অঙ্ক কষে আপাতত বাণটা মাছের চোখে লক্ষ্যভেদে উদগ্রীব উভয় শিবিরই। প্রয়োজনে প্রয়োগ হবে সাম – দাম – দন্ড – ভেদ! তাই ঝড়ে সামান্য মচকালেও এখনই ভেঙে পড়ার পাত্র নন বাবুল হোড়রা। পদ্ম বনে টিকে থাকতে ‘ শক্ত ‘ প্রার্থীদেরই সিলেক্ট করছেন তারা!
বিজিএম যতই এগিয়ে আসছে, ততই তৎপরতা বাড়ছে প্রার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্লাব কর্মকর্তাদের। শাসক দল সামান্য অ্যাডভান্টেজে থাকবে, কেননা বিভিন্ন ক্লাব, প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ থেকে প্রায় ৮০-৯০ জন গেরুয়া সদস্য বিজিএমে আসছেন। তাদের এককথায় পড়িয়ে শিখিয়ে আনা হচ্ছে পছন্দের লোকদের ভোট দিতে। আর যে গতিতে বিজিএমে কল্প – কাহিনী এগিয়ে চলেছে তাতে এই প্লাটফর্মেই বাহুবলি পার্ট থ্রি মঞ্চস্থ হওয়াটা সময়ের অপেক্ষা মাত্র। কারণ সূত্রগুলি ভুলভাল না বললে বাবুল হোড়রা শক্তিশালী একটা প্যানেলই তৈরি করে ফেলেছেন। হয়তো কাল তা প্রকাশ্যেও চলে আসবে। সেইরকম করে বিভিন্ন ক্লাব প্রতিষ্ঠানে গিয়ে গিয়ে প্রচারও চালাচ্ছেন তারা। মূলত বিভিন্ন ক্লাবের বর্ষীয়ান সদস্য এবং বিজেপি বিরোধী সদস্যদেরই টার্গেট করেছেন তারা। বুধবারও শহরের দুটি বড় ক্লাবে সভার পাশাপাশি আরও কিছু ক্লাবে প্রচার চালিয়েছেন বাবুল হোড়রা।
সরকারিভাবে কিছু না বললেও তাদের প্যানেলও মোটামুটি তৈরি। সভাপতি এবং সম্পাদক পদে তাদের মুখ্ হতে চলেছেন প্রত্যাশিতভাবেই বাবুল হোড় এবং অতনু ভট্টাচাৰ্য। বাদবাকি গুরুত্বপূর্ণ পোস্টেও পছন্দসই প্রার্থী দেবেন তারা। আর কিছু পদে শাসক বিরোধী প্রার্থীদের সমর্থন করবেন বাবুল – অতনুরা। এমনিতে লড়াই কঠিন হলেও বাবুল হোড়ের মত একজন তুখোড় ক্রীড়াসংগঠককে কোনওভাবেই থুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। কে জানে – শেষ মিনিটে একটা গোল দিয়ে বসলেন!!