নয়াদিল্লি, ২৪ আগস্ট : ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়কের কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা উদ্ধারের ঘটনা এবার সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছাল।গুয়াহাটির অশোক ধানুকা নামের এক ব্যবসায়ী শীর্ষ আদালতে সংশ্লিষ্ট পক্ষের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেছেন।
বুধবার অশোক ধানুকার হয়ে শীর্ষ আদালতে হাজির হন সিনিয়র আইনজীবী মুকুল রোহতগি এবং নলিন কোহলি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে নোটিশ দিয়ে জবাব চেয়েছে আদালত।পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি’র দাবি, ঝাড়খণ্ড কাণ্ডে মহেন্দ্র আগরওয়াল নামের এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অসমের পাঁচ ব্যবসায়ী তথা শিল্পপতির নাম জানা যায়। তাঁর মধ্যে একজন হলেন অশোক ধানুকা। সিআইডি সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডের জেএমএম-কংগ্রেস সরকারকে ফেলে দেওয়ার জন্যই ওই ব্যবসায়ী লক্ষ লক্ষ টাকা দেওয়ার বন্দোবস্ত করে দিয়েছিলেন।এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার। সেই সূত্রেই উঠে এসেছে অশোক ধানুকার নামও।
কিছুদিন আগে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার পাঁচলা থানা এলাকায় একটি কালো রঙের গাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছিল। গাড়ির ভিতরে ছিলেন ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক। ওই টাকার উৎস কী, সেই সম্পর্কে কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি বিধায়করা। এরপরই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। এই ৩ বিধায়ক হলেন, ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ার বিধায়ক ইরফান আনসারি, খিরজির বিধায়ক রাজেশ কাছাপ এবং কোলেবিরার বিধায়ক নমন বিক্সাল৷ এঁদের সঙ্গে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়৷ এই ঘটনার পরই দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধীর নির্দেশে ওই তিন বিধায়ককে সাসপেন্ড করে কংগ্রেস৷ তাদের অভিযোগ, এই বিধায়করা ঝাড়খণ্ড সরকারকে পতনের জন্য বিজেপির ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন। যদিও ঝাড়খণ্ডের ওই তিন কংগ্রেস বিধায়ক সহ অন্য আরও দুজন আপাতত কলকাতা হাইকোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছাড়া পেয়েছেন।