অনলাইন ডেস্ক : শিলচর সেন্ট্রাল জেলে গত মঙ্গলবার উদ্ধার হয় দিলোয়ার হোসেন লস্কর (২৯) নামে এক বন্দির ঝুলন্ত মৃতদেহ। কচুদরম থানা এলাকার বাউরীকান্দি দ্বিতীয় খন্ডের বাসিন্দা দিলওয়ারের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তার পরিবারের লোকেরা ওই এলাকার আট স্বঘোষিত গ্রামীন “বিচারক”কে দায়ী করে নালিশ জানিয়েছেন থানায়।
দিলোয়ারের পত্নী শামীমা আক্তার, মা সমিরুন নেছা, ভাই আনোয়ার হোসেন লস্কর ও বোন হ্যাপি বেগম লস্কররা জানিয়েছেন, এলাকার মাতবর শ্রেণীর ওই আট স্বঘোষিত বিচারক চাপ দিয়ে অর্থ আদায়ের তালে ছিলেন। এরা এক দফা মামলা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করবেন বলে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা নিয়েছেন। পরবর্তী সময়ে আরও কয়েক দফায় সব মিলিয়ে মেনেছেন ১০ লক্ষ টাকা। এরপরও দিলোয়ার জেলে থাকার সময় তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আরও টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন।
তারা(পরিবারের লোকেরা) যখন দিলোয়ারের সঙ্গে জেলে গিয়ে সাক্ষাত করেন, তখন ওই মাতব্বর স্বঘোষিত বিচারকদের চাপ সৃষ্টির কথা জানিয়েছিলেন তিনি। এমনকি দাবি মত টাকা না দিলে দিলোয়ারকে মরতে হবে বলেও নাকি হুমকি দিয়েছিলেন ওই মাতব্বররা।
এভাবে অভিযোগ করে শামীমা আক্তাররা সন্দেহ ব্যক্ত করেন, দিলোয়ারের মৃত্যুর পেছনে হাত রয়েছে ওই মাতব্বরদের।
পুলিশের এক সূত্র এজাহার দায়ের করার কথা স্বীকার করলেও তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তদের নাম জানাতে রাজি হননি। শামীমা আক্তাররাও জানিয়েছেন, তদন্ত প্রক্রিয়া যাতে ব্যাহত না হয় এর জন্য তারাও এই মুহূর্তে অভিযুক্তদের নাম খোলসা করতে রাজি নন। যদিও এক বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, আট অভিযুক্তের অন্যতম ব্যক্তিটি দিলোয়ারদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়।
প্রসঙ্গত এক নাবালিকার সঙ্গে যৌনাচারের মামলায় দিলোয়ারকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তাকে গ্রেফতার করে জেলে প্রেরণ করা হয়। এরপর গত মঙ্গলবার জেলে উদ্ধার হয় তার ঝুলন্ত মৃতদেহ। শামীমা আক্তার সহ পরিবারের অন্যান্যদের অভিযোগ, যৌনাচারের অভিযোগটাই সম্পূর্ণ মিথ্যা। অর্থ আদায়ের জন্য ওই আট মাতব্বর মিলে নাবালিকার পরিবারের লোকেদের দিয়ে দিলোয়ারের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করিয়েছেন।