অনলাইন ডেস্ক : অসম-মণিপুর সীমান্তের জিরিঘাট থানা এলাকার প্রত্যন্ত নমদাইলং রংমাই পুঞ্জিতে বন্দুকধারী দলের আক্রমণ। বন্দুকধারীর অতর্কিত আক্রমণে হত ১, আহত এক। হত ব্যক্তির নাম গাইদিংচুংপাউ রংমাই (৫০) ওরফে চেলা রংমাই। আহত হয়েছেন কানলুন গাই, বয়স ৬০ বছর। উভয়ই এই পুঞ্জির বাসিন্দা। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ এই ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। পূর্বে এই পুঞ্জিতে এরকম অনেক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। হত ব্যক্তি নাগা ন্যাশনালিস্ট কাউন্সিল (এনএনসির) সদস্য বলে জানা গেছে।
জেলা পুলিশ সুপার নোমাল মাহাতো জানান, মঙ্গলবার দুপুরে দুটা নাগাদ নমদাইলং পুঞ্জির একটি চার্চে একটি সভা চলছিল। সভা চলাকালীন মনোমালিন্য থেকে এক যুবক গুলি চালাতে শুরু করে। গুলিতে মৃত্যু ঘটে গাইদিংচুং পাউ রংমাইর। আহত হয়ে জিরিবাম হাসপাতালে কানলুন গাই নামের ব্যক্তি চিকিৎসাধীন। ঘটনার খবর পেয়ে জিরিঘাট থানার ওসি পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছেন। ততক্ষণে বন্দুকধারী নিরাপদ দূরত্বে চলে যায়। এরপর শিলচর থেকে ছুটে যান ডিআইজি, জেলা পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। রাত সাতটা নাগাদ মৃতদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় জিরিঘাট থানায়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, বন্দুকের গুলিতে নিহত ব্যক্তি এনএনসি দলের সক্রিয় সদস্য। সে অসম, মনিপুর, নাগাল্যান্ড রাজ্যের দায়িত্বে থাকা সঙ্গঠনের কর্তা। তার মূল বাড়ি মনিপুর হলেও নমদাইলংয়ে বিয়ে করে এখানে বসবাস করছে। গত ২৯ নভেম্বর কোহিমা থেকে সে এখানে এসেছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করতে জিরিবামের পুলিশ সুপারও জিরিঘাটে এসে কাছাড় পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ঠিক কি কারণে গুলি চালনার ঘটনা সংঘটিত হয়েছে এনিয়ে ডিজিপির নির্দেশ এবং পরামর্শে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মাহাতো। খুব শীঘ্রই আসল রহস্য উন্মোচন হবে এবং অভিযুক্ত ধরা পড়বে বলে আশাবাদী তিনি। এই গুলি চালনার ঘটনা নিয়ে জিরিঘাটের পাহাড়ি এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। নাগা জঙ্গি সংগঠনের এক উর্বর ভূমি জিরিঘাটের নমদাইলং, রমজাইলং ও লক্ষীছড়া। প্রায়ই এই অঞ্চলে গুলি চালনার ঘটনা সংঘটিত হয়। এবার বড়দিনের প্রাক মুহূর্তে অনুরূপ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।