অনলাইন ডেস্ক : মিশন বসুন্ধরা প্রকল্পের অধিনে জমি ক্রয় বিক্রয় বা নামজারি করতে দালাল বা ঘুষ লেনদেনের বিরুদ্ধে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা যখন কঠোর বিধি নিষেধ জারি করছেন। সে সময় সোনাই রাজস্ব সার্কেলের অধিনস্ত রাঙ্গিরঘাট প্রথম খণ্ডের বাসিন্দারা স্থানীয় লট পাটোয়ারি বদর বকত লস্করের বিরুদ্ধে জমি নামজারিতে মোটা টাকা উৎকোচ দাবির অভিযোগ তুলেছেন। সম্প্রতি এলাকার অর্ধশতাধিক ভুক্তভোগী জনতা স্থানীয় পাটোয়ারির বিরুদ্ধে বিভিন্ন কৌশলে অর্থ দাবির অভিযোগ এনে কাছাড়ের জেলা উপায়ুক্তের কাছে নালিশ জানিয়েছেন। স্মারকের প্রতিলিপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ভিজিলেন্স সেল জেলা ভুবাসন আধিকারিক, সোনাইর সার্কেল অফিসার,শিলচরের সাংসদ, সোনাইর বিধায়কের ও প্রদান করা হয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার বিকালে রাঙ্গিরঘাট এলাকার ভুক্তভোগী জনগন সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে স্থানীয় লট পাটোয়ারি বদর বকত (ঝিনুক) লস্করের বিরুদ্ধে জমি নামজারি করতে মোটা পরিমানে অর্থ দাবির অভিযোগ করে অতিসত্তর তাকে অন্যত্র বদলির দাবি জানিয়ে জেলা উপায়ুক্তের দৃষ্ঠি আকর্ষন করেছেন। সাংবাদিকদের তারা জানান, পাটোয়ারী বদর বকত লস্কর ও কানুনগো সরকারি নীতি নির্দেশিকা কে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে এলাকায় জমির সীমানা নির্দারন, নামজারির নামে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে বিশাল পরিমানে অর্থদাবি করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্ঠি করেছেন।এলাকার জমি মালিক নুরুল আলম লস্কর সাংবাদিকদের জানান, সম্প্রতিকালে আমাদের এলাকায় সরকারি জরিপ এসেছে। স্থানীয় পাটোয়ারী বদর বকত লস্কর ও কানুনগো নিয়ে জমি মাপজোক শুরু করে বলেন তোমাদের জমিতে দাগ পাট্টা, ও সীমানা নিয়ে বিভিন্ন জঠিলতা রয়েছে। সরাসরি অর্থ দাবি করে বলেছেন অর্থ অনাদায়ে বিপাকে পড়বেন জমি মালিকরা।তিনি জানান গরিব জমি মালিকদের এভাবে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে ইতিমধ্য উৎকোচের পরিবর্তে কম মুল্যে কয়েক বিঘা জমি কিনে নিয়েছেন। তারা জানান, ।এধরনের মন মানষিকতা সম্পন্ন পাটোয়ারী কে অন্যত্র বদলি করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।বাসারত আলি, আব্দুল কুদ্দূস, সাহারিয়ার লস্কররা একই সুরে পাটোয়ারীর কৃত্তি তুলে ধরে জানান, তিনি জমির মাপঝোক করে বলেন জমির দাগ পাট্টা চৌহদী ঠিক নেই। কোন ও প্লটে জমি বেশি, আবার কোন ও খানে কম রয়েছে। জমির হিসাব মেলানো বেশ কঠিন হবে।এর বিনিময়ে মোটা টাকা দাবি করে বসেন। অনাদায়ে তার নামে জমি লিখে দেবার চুক্তি করেন। তারা জানান অনেক গরিব দুস্ত জমি মালিক টাকা দিতে না পেরে কিছুটা জমি পাটোয়ারির নামে লিখে দিতে বাধ্য হয়েছেন। জানান এলাকার আনোয়ার হোসেন আলতাপ হোসেন জলিল আহমেদ কে এভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে পাটোয়ারী চার পাঁচ বিঘা জমি কিনে নিয়েছেন। এবার তার জমিতে পৌছার জন্য রাস্তার জন্য আশপাশের জমি মালিকদের সঙ্গে প্রতারণা করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। এলাকার জনগন এই পাটোয়ারী কে অন্যত্র বদলির দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।