অনলাইন ডেস্ক : গুয়াহাটির নারেংগির নিকটবর্তী কলংপার বাজার এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষক তথা বিশিষ্ট সমাজকর্মী মিনরাজ যোশী আর নেই। বুধবার শেষরাতে মহানগরের এপোলো হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। রেখে গেছেন স্ত্রী দীপা যোশী, পুত্র সেনাবাহিনীর লে: কর্নেল অজুত যোশী, দুই কন্যা শিলচর রামানুজ কলেজের প্রভাষক চারু যোশী চৌধুরী ও মেঘালয়ের ইউ এস টি এম- এ কর্মরত সঙ্গীতা যোশী বরুয়া, দুই জামাতা তৌহিদ রাজা চৌধুরী ও ডাঃ ভাস্করজ্যোতি বরুয়া। মিনরাজ যোশী বুধবার প্রতিদিনের মত প্রাতঃভবনে বের হয়ে আচমকা ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত হন। সঙ্গেসঙ্গে তাকে এপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।তার মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই পরিচিত মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। অজস্র গুণমুগ্ধ ও প্রিয়জনরা তার বাসভবনে ছুটে গিয়ে অন্তিম শ্রদ্ধা নিবেদন করে শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গকে গভীর সমবেদনা জানান। বাসভবনে গিয়ে যারা শ্রদ্ধা জানান তাদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ কিরিপ চলিহা, ডাঃ নীলকন্ঠ বরদলৈ,বলিন বরদলৈ,জি এল প্রকাশনার পক্ষে প্রনব তালুকদার, জলসেচ বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত চিফ ইঞ্জিনিয়ার প্রনব চেংকাকতি, দৈনিক সাময়িক প্রসঙ্গ পত্রিকার সম্পাদক তৈমুর রাজা চৌধুরী সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিশিষ্টজনেরা।
উল্লেখ্য, প্রয়াত যোশীর জন্ম ১৯৫৮ সালের ১ মে। পড়াশুনা শেষ করে তিনি বীরকুচি হিন্দি হাইস্কুলে শিক্ষকতার পেশায় যুক্ত হন। অবসর গ্রহনের পর কংগ্রেস দলের সক্রিয় সদস্য ছাড়াও নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন। ছিলেন বৃহত্তর গুয়াহাটি গো-পালক সংস্থার সভাপতি, নুনমাটি ব্লক কংগ্রেস সহসভাপতি, পূর্ব নারেংগি বিহু উৎসবের মুখ্য পৃষ্ঠপোষক, নারেংগি চেকগেট বণিক সংস্থার উপদেষ্টা।