অনলাইন ডেস্ক : এবছর নীলাচল পাহাড়ে কামাখ্যা মন্দিরে অম্বুবাচী মেলায় এসে অসন্তুষ্ট সাধুরা। শেষমেষ সোমবার তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন এবং তুলে ধরলেন নিজেদের ক্ষোভ। সাধুরা বলেন, ‘নির্বাচন পাহাড়ে মা কামাখ্যাকে জাগ্রত করেছেন সাধুরা, তাদের তপস্যায় মা জেগে উঠেছিলেন। যখন সাধনা হতো, এই পীঠস্থান পর্যটন স্থল ছিল না। এবার পর্যটনের জাঁকজমক রয়েছে তবে সাধুদের অবহেলা করা হচ্ছে।’ নীলাচল পাহাড়ে অম্বুবাচীতে লক্ষ লক্ষ লোকেরা মা কামাখ্যার দর্শনে আসেন। এই উৎসব শুধুমাত্র অসমে নয় গোটা দেশের ভক্তদের কাছে বিশেষ মর্যাদা পায়। তবে কামাখ্যার অম্বুবাচী উৎসবের অন্যতম দিক হচ্ছে নাগা সাধুদের আবির্ভাব। তারা গোটা বছরের শুধুমাত্র এই তিন দিন মন্দির দর্শনে আসেন। তাদের আসা-যাওয়া এবং উপস্থিতির সময়কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। তবে এবছর সাধুরা অভিযোগ করেছেন তাদের উপেক্ষা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এক সাধু বলেন, ‘১৯৮০ থেকে আমি এই মন্দিরে প্রতি বছর আসি। তখন এখানে কেউ আসতো না, মন্দিরের সাধারণ পুজো হতো। একটা জায়গায় পাঠা বেঁধে রাখা হতো, পুরোহিতরা পুজো করতেন এবং সাধকরা সাধনা করতেন। মায়ের পূজো সব নিয়ম মেনে হত। আমরা নিজের হাতে পাথর পরিষ্কার করেছি, রাস্তাঘাট গড়ে তুলেছি। আমাদের কাছে তখনও মা কামাখ্যার এই বিশেষ তিনদিন গুরুত্ব পেত, এখনও আমরা মায়ের কাছেই আসি। তবে এখন পর্যটনের নামে যে পরিস্থিতি গড়ে তোলা হয়েছে, এতে আসল পূজোর পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এখন স্থানীয় প্রশাসন পর্যটনকে প্রাধান্য দিচ্ছে এবং সাধুদের অবজ্ঞা করছে। এই পিঠস্থান একটা সাধারণ পর্যটন স্থল নয়, যদি এটা তারা বুঝতে না পারেন তাহলে একসময় মা কামাখ্যার রুষ্ট হবেন।’