অনলাইন ডেস্ক : কান্নাজড়িত গলায় নতুন বাংলাদেশ গড়ার ডাক দিলেন ড. মহম্মদ ইউনুস। বিমানবন্দরে বেলা পৌনে তিনটার দিকে বক্তব্য দেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশে আজকে নতুন বিজয় সৃষ্টি হলো। আবু সাঈদের কথা সরণ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এরপর কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, তরুণ সমাজ এটা সম্ভব করেছে। তার বক্তব্যে স্পষ্টভাবে উচ্চারিত হয়, এই স্বাধীনতার সুফল গোটা বাংলাদেশের মানুষের ঘরে পৌছে দিতে হবে। সর্বধর্মের মানুষকে স্বাধীনতা রক্ষা করতে এগিয়ে আসতে হবে। তার কথা যদি কেউ না শোনেন, তা হলে তিনি এখানে থাকবেন না। দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এই বিজয় আমাদের রক্ষা করতেই হবে। প্রতিটি ভাই বোনকে আমাদের রক্ষা করা হবে। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ২টা ১৫ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।বিমানবন্দরে ড. ইউনূসকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, তিন বাহিনীর প্রধান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা, নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী ও ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। সংকটময় পরিস্থিতিতে দেশে ফিরেই পা রেখেই বিশঙ্খলা-সহিংসতা থেকে দেশকে রক্ষার ডাক দিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান নোবেলজয়ী ড. ইউনূস। বলেন, তড়িৎ গতিতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কাজে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের আরও মজবুত অবস্থায় সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আজ আবু সাঈদের কথা মনে পড়ছে। আবু সাঈদের কথা সরণ করে কেঁদে ফেলেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুফল বাংলাদেশের প্রতি মানুষের ঘরে পৌছে দিতে হবে। তরুণদের প্রতি ড. ইউনূসের আহ্বান, তোমাদেরকেই এই বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। গোটা বিশ্ব তোমাদের কাছ থেকে শিখবে। সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা ছিলো না। এর আগে সেনাপ্রধান জেনালে ওয়াকার-উজ্জামান ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। তিনবাহিনীর প্রধান, সুশিল সমাজের প্রতিনিধি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা উপস্থিত ছিলেন।