অনলাইন ডেস্ক : বিগ বাজেটের পূজো। গত কয়েক বছর ধরেই শিলচরের চেংকুড়ি রোড সর্বজনীন দূর্গা পূজা কমিটির পুজো গন্য হচ্ছে এই তালিকায়। মন্ডপ, আলোকসজ্জা থেকে ধরে প্রতিমা সবকিছুতেই জৌলুসের দরুণ ওই পুজো টানছিল দর্শকদের ভিড়। তবে এবার দেখা যাচ্ছে উল্টো চিত্র। গত বছরের ১৪ লক্ষের তুলনায় এবার বাজেট প্রায় অর্ধেক কমে নেমে এসেছে ৮ লক্ষে।
বাজেট কমার কারণ নিয়ে পুজো কমিটির সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ ভট্টাচার্য জানান, অন্যান্য বছর কিছু কিছু সূত্রে পাড়ার বাইরে থেকেও ভালো অংকের চাঁদা আসতো। যাদের সূত্রে আসতো তারা বর্তমানে রয়েছেন বাইরে। তাই এবার কমিয়ে দিতে হয়েছে বাজেট। বাজেট কমায় মূলত প্রভাব পড়েছে মণ্ডপ সজ্জায়। কেদারনাথ বা অন্যান্য বড় বড় মন্দিরের আদরে গত কয়েক বছর দৃষ্টিনন্দন মন্ডপ গড়ে বিভিন্ন পুরস্কার জিতলেও বাধ্য হয়েই এবার মন্ডপের ক্ষেত্রে খরচ অনেকটা কমিয়ে দিতে হচ্ছে। তবে পুজোর তিনদিন অন্যান্য বছরের মতোই থাকছে নরনারায়ণ সেবা। সাধ্যমতো আলোকসজ্জারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সভাপতি বিজয়বাবু এসব কথা জানালেও কে বা কাদের সূত্রে অন্যান্য বছর পাড়ার বাইরে থেকেও ভালো অংকের চাঁদা আসতো এনিয়ে কিছু বলেননি। যদিও কমিটির অন্যান্য সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকার উপেন্দ্র দাম সরণীর বাসিন্দা বরাক উপত্যকা কৈবর্ত সমাজ উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি সুজিত দাস চৌধুরীর সূত্রেই পাড়ার বাইরে থেকেও আসতো মোটা অংকের চাঁদা। আর এই পুজো শহরের জনমানসে সুজিতের পুজো হিসেবেই পরিচিত। যদিও সুকান্ত কর নামে এক ব্যবসায়ীকে মারধরের মামলায় অভিযুক্ত সুজিত পুলিশের নাগাল এড়িয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন গত মে মাস থেকে। জেলা আদালতের পর গৌহাটি হাইকোর্টেও তার আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। তাই এবার তার পক্ষ থেকে কোনও সহায়তাই আসছে না। যার ফলশ্রুতিতে কমিয়ে দিতে হয়েছে বাজেট।
সুজিত বর্তমানে পালিয়ে বেড়ালেও তার নাম পুজোর পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। এনিয়ে সভাপতির বিনয়বাবুকে জিজ্ঞেস করলে তিনি প্রথমত ব্যাপারটা স্বীকার করলেও পরবর্তীতে কথা পাল্টে বলেন, সুজিতের নাম পৃষ্ঠপোষকের তালিকায় রয়েছে কি না তার তার ঠিক জানা নেই।