অনলাইন ডেস্ক : কাটাখালের বাঁধ সংস্কারের কাজে দুর্নীতি নিয়ে সরব হলো দুটি সংগঠন। শীঘ্র কয়েক কোটি টাকার সংস্কারের কাজের তদন্তের দাবি জানিয়েছে মাইমাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি অব আসাম (মোসা)-র কেন্দ্রীয় কমিটি ও ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস-এর অসম রাজ্য কমিটি। বুধবার মোসা-র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাজি নজমুল হাসান ও ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস -এর রাজ্য সাংগঠনিক সম্পাদক আকাশ দাশ কাটাখালে জলসম্পদ বিভাগের কয়েক কোটি টাকার বাঁধ সংস্কারের কাজ পরিদর্শন করেন। সংবাদমাধ্যমের সামনে মোসা-র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাজি নজমুল হাসান ও ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস-এর রাজ্য সাংগঠনিক সম্পাদক আকাশ দাশ ক্ষোভের সুরে জানান,কাটাখালে বাঁধ সংস্কারের নামে কয়েক কোটি টাকার কাজে লাগামহীন দুর্নীতি নিয়ে সম্পূর্ণ নীরব জলসম্পদ বিভাগ।বিভাগীয় আধিকারিকদের যোগসাজশে ঠিকাদার কাজে দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ তাদের।তারা বলেন,সোমবার সকালে জিওব্যাগে ঠিকাদারের দুর্নীতি হাতেনাতে ধরেন জলসম্পদ বিভাগের এসডিও পূর্ণেন্দু চন্দ,জেই সঞ্জয় গোয়ালা ও এসও সুমন দেব। পরে আধিকারিকরা পলিমাটি মিশ্রিত জিওব্যাগ পরিবর্তনের নির্দেশ দেন। রহস্যজনকভাবে এখানেই দায়িত্ব শেষ করে দেন তারা। ঠিকাদার রাজু চৌধুরীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ এবং তদন্তের বিষয় নিয়ে কিছুই বলেননি বিভাগীয় কর্তারা। তারা আরও বলেন, বিভাগীয় আধিকারিকরা পলিমাটি মিশ্রিত জিওব্যাগ পরিবর্তনের নির্দেশ দিলেও এখনও দেখা গেছে ওই মাটিভর্তি জিওব্যাগ দিয়ে কাজ চলছে। জলসম্পদ বিভাগের আধিকারিকদের বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদার। তাদের প্রশ্ন,ঠিকাদার কার ইশারায় কাজে এতো দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন।শীঘ্র ঠিকাদারের এ ধরণের কাজের উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন মোসা-র সভাপতি নজমুল হাসান ও হিউম্যান রাইটস -এর রাজ্য সাংগঠনিক সম্পাদক আকাশ দাশ।