অনলাইন ডেস্ক : কাছাড় জেলা প্রশাসনে স্বচ্ছতা ফেরাতে ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। জেলা প্রশাসনের একের পর এক শাখায় গণহারে চলছে বদলি প্রক্রিয়া। তবু অসাধু কর্মীমহলে লাগাম পরানো যাচ্ছে না। জেলার জমি কেনাবেচার দফতর অর্থাৎ সেটেলমেন্টে পাটোয়ারি ও কানুনগোদের অনিয়ম মাত্রা ছাড়িয়েছে। অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে এই দফতরের বিরুদ্ধে। তাই বিভাগীয় তদন্ত করে উপযুক্ত পদক্ষেপ না করা হলেও গণহারে চলছে বদলি প্রক্রিয়া। এবার সেটেলমেন্টের শিলচর সদর, সোনাই এবং কাটিগড়া রাজস্ব সার্কলে সহকারী পাটোয়ারিদের মৌরসীপাট্টা ভাঙার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলাশাসকের এক নির্দেশে গত শনিবার অর্থাৎ ১৮ মার্চ একযোগে মোট ২২ জন সহকারী পাটোয়ারিকে অন্য সার্কলে বদলি করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে চলতে থাকা তৃতীয় রি-জরিফের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সেটেলমেন্ট অফিসার কর্মীদের রদবদল করেছেন। এতে শিলচর সদর সার্কলের মোট ৯ জন সহকারী পাটোয়ারিকে একযোগে বদলি করা হয়েছে। এর মধ্যে জয়নুল হক লস্করকে লক্ষীপুরে, নীহাররঞ্জন নাথকে কাটিগড়ায়, সন্দীপ বর্মনকে লক্ষীপুরে, আফিয়া পারভিন লস্করকে উধারবন্দে, দীপঙ্কর নাথ, লিপি দেবরায় এবং ইমরান হোসেন লস্করকে সোনাই সার্কলে, জাভেদ হোসেন লস্কর ও অভিষেক রায়কে শিলচর সদর থেকে কাটিগড়া সার্কলে বদলি করা হয়েছে।
এদিকে সোনাই সার্কলে পাঁচ সহকারী পাটোয়ারিও ওই একই আদেশে বদলি হয়েছেন। এদের মধ্যে বদর বক্ত লস্কর ও সজলকুমার দাসকে শিলচর সদরে, আলি হোসেন লস্কর ও জাবির আহমদ বড়ভূইয়াকে কাটিগড়া সার্কলে এবং আব্দুল সাহিদ লস্করকে লক্ষীপুর সার্কলে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া কাটিগড়া সার্কলেরও পাঁচ সহকারী পাটোয়ারি বদলি হয়েছেন। এদের একযোগে শিলচর সদরে পাঠানো হয়েছে। এরা হলেন, সুজিত দাস, আবু আনসার মজুমদার, অমৃত নাথ, অঙ্কিত সিংহ এবং রাজীব সিনহা। অন্যদিকে একই নির্দেশে লক্ষীপুরের পুলেন কুমার শইকিয়া ও আব্দুল আল ফারুক মজুমদার এবং উধারবন্দ সার্কলের জীশুতোষ দেবকে শিলচর সদরে বদলি করা হয়েছে। সবাইকে নিজ নিজ জমি সংক্রান্ত রেকর্ড সংশ্লিষ্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট সেটেলমেন্ট অফিসারের কাছে সমঝে দিয়ে নতুন দায়িত্ব গ্রহনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যাপক হারে পাটোয়ারি স্তরে বদলি প্রক্রিয়া চললেও আইনের ফাঁক গলিয়ে কয়েকজন পাটোয়ারি-কানুনগো উপরওয়ালাদের ম্যানেজ করেই নিজেদের টেবিল সুরক্ষিত রেখেছেন বলে অনেকেই অচিজোগ করেছেন। জেলা প্রশাসনের অন্দরে এভাবে টেবিল এবং দায়িত্ব বদলের পরও স্বচ্ছতা ফিরে কি না, এখন সেটাই দেখার।