অনলাইন ডেস্ক : উত্তর পূর্ব ভারতের সব থেকে বড় মাত্রার নেশাদ্রব্য বাজেয়াপ্ত হলো করিমগঞ্জে । অসম পুলিশ ও এসটিএফের যৌথ অভিযানে সুপ্রাকান্দি থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা মূল্যের নেশাদ্রব্য । ডিআইজি পার্থসারথি মহন্ত ও করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার পার্থ প্রতীম দাসের নেতৃত্বে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে এই অভিযান চালানো হয় । এই বৃহৎ পরিমাণের নেশাদ্রব্য বাজেয়াপ্তের পাশাপাশি গাড়ি চালক এবং তিনজন পাচারকারী কে আটক করা হয়েছে । এদের বিরুদ্ধে এনডিপিএস ধারায় মামলা নথিভুক্ত করে পুলিশ তদন্ত আরম্ভ করেছে ।
করিমগঞ্জ জেলাকে করিডোর হিসেবে ব্যাবহার করে ড্রাগস সহ অন্যান্য নেশাদ্রব্য দীর্ঘদিন থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাচার হয়ে আসছে । কেবল তাই নয় এই পথ কে ব্যাবহার করে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশেও নেশাদ্রব্য পাচার করা হয় । গত বছর দুয়েক থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নির্দেশে ড্রাগসের বিরুদ্ধে অসম পুলিশ একের পর এক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে । কিন্তু মঙ্গলবার বৃহৎ সফলতা পেয়েছে অসম পুলিশ । এদিন সকাল থেকে ডিআইজি (এসটিএফ) পার্থসারথি মহন্ত ও পুলিশ সুপার পার্থ প্রতীম দাসের নেতৃত্বে এসটিএফ ও করিমগঞ্জ পুলিশের যৌথ অভিযানে বৃহৎ পরিমাণের নেশাদ্রব্য বাজেয়াপ্ত করা হয় । গোপন সূত্রে খবর ছিল একটি বড় মাপের নেশাদ্রব্য পাচার হতে যাচ্ছে । সে অনুযায়ী বিগত কয়েকদিন থেকে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সক্রিয় ছিল । এদিন দুপুরের দিকে এম জেড ০৬ এ ১৪২২ নম্বরের একটি মারুতি গাড়ি জেলা সদর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে সুপ্রাকান্দি এলাকায় আটক করা হয় । গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৫.১ কেজি হেরোইন, ৬৪,০০০ টি ইয়াভা ট্যাবলেট এবং ৪ প্যাকেট বিদেশি সিগারেটের প্যাকেট বাজেয়াপ্ত করা হয় । যার বাজারমূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে পুলিশ । পাশাপাশি আটক করা হয়েছে পাথারকান্দির বাসিন্দা নুর আহমেদ (চালক), জোসাংলিয়ানি রম্নগহাকা এবং লালচামলিয়ানা নামের তিন পাচারকারী কে । এই পাচারকারী তিনজনের মধ্যে একজন মহিলা এবং বাকি দুজন পুরুষ । এদের বাড়ি মিজোরাম রাজ্যের থেনজল এলাকায় । এদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ তদন্ত আরম্ভ করেছে ।