অনলাইন ডেস্ক : ২০১৩ সালে ১৫ কোটি। এর ছ’বছর পর ২০২০ সালে আরও ১০কোটি। আগে-পরের খুচখাচ বরাদ্দের কথা বাদ দিলে শুধু দু’টি প্রকল্পেই বরাদ্দ হয়েছে ২৫ কোটি। কিন্তু এত বিশাল অংকের টাকা খরচ করেও হাল ফেরেনি মাত্র ৬৯০ মিটার বাঁধ কাম রাস্তার ! কল্পকাহিনি-কে হার মানানোর মতো এমনই এক আশ্চর্য ঘটনার সাক্ষী শিলচর তারাপুর-শিববাড়ি অঞ্চলের বাসিন্দারা। এলাকার বাঁধ কাম রাস্তা সংস্কারের জন্য গত ১০-১৫ বছরে এসেছে কোটি কোটি টাকা। কাজও (!) হয়েছে। কিন্তু কোনও ভাবেই হাল ফেরানো যায়নি বাঁধ রাস্তাটির। এদিকে, ‘কীর্তিনাশা’ বরাকের দৌলতে আঙুল ফোলে কলাগাছ হয়েছে একাংশের। তারাপুর-শিববাড়ি বাঁধ রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। দীর্ঘবছর ধরেই এই সমস্যায় জর্জরিত গোটা এলাকা। এরমধ্যে শিলচর কালাইন সড়কের বেহাল অবস্থার জন্য গত শীতের মরসুমে ভোগান্তি উঠেছিল চরমে। রাস্তা অবরোধ পর্যন্ত করেন ধুলোঝড়ে নাকাল বাসিন্দারা। যার জেরে হালে শিলচর কালাইন সড়কের হাল কিছুটা ফিরলেও ভোগান্তির চিত্রে পরিবর্তন ঘটেনি তারাপুর শিববাড়ি বাঁধ রাস্তায়।
কারণ, একদিকে মাটি ভরাটের কাজ হয়েছে, অন্যদিকে ‘সিঙ্কিং জোন’ হিসেবে কুখ্যাত রাস্তাটি ফের তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। শুকনো মরসুমেই নদীর দিকে রাস্তাটি এতটাই ধসে গিয়েছে যে, সেটাকে বিপজ্জনক থেকেও বড় কিছু মনে করছেন স্থানীয়রা। তারা বলেছেন, এই রাস্তায় যে-কোনও মুহূর্তে বড় ধরনের অঘটনের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে লোড গাড়ি উল্টে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল। যাত্রী গাড়িও নিরাপদ নয়। তারপরও এই রাস্তা ধরে ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে। ওপর থেকে ধুলোর ঝড় তো আছেই। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, গত দু-তিন বছর ধরে ধুলো ঝড়ের কারণে এলাকায় অনেকেরই ফুসফুসের সমস্যা দেখা দিয়েছে। বর্তমানেও একই অবস্থা। সম্প্রতি রাস্তার কাজ হলেও কিছুদিন আগে তারাপুর শিববাড়ি এলাকা থেকে রায়গড় ও আশপাশ এলাকায় নর্দমা খোঁড়া হচ্ছে। সেই মাটি ডাঁই করে রাখা হয়েছে রাস্তার পাশে। ফলে বাঁধের ওপর থেকে বৃহত্তর এলাকায় চলছে ধুলোঝড়ের তাণ্ডব। অথচ এ ব্যাপারে পূর্তবিভাগ থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসন পুরোপুরি উদাসীন। অথচ বিভাগীয় উদ্যোগে রাস্তায় জল ছিটানো হলেও কিছুটা স্বস্তি মিলত। কিন্তু সেটাও হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর উড়ালপুলের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দিকে তাকিয়ে আছেন বাসিন্দারা।