নয়াদিল্লি, ২৪ আগস্ট : কোনও ‘গান্ধী’ নয়, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট হতে চলেছেন নতুন কংগ্রেস সভাপতি। সূত্রের খবর, খোদ কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী গেহলটকে দলের দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করেছেন। সব ঠিক থাকলে রাজস্থানের পোড়খাওয়া কংগ্রেস নেতাই জাতীয় কংগ্রেসের কাণ্ডারী হতে পারেন।
দলের নতুন সভাপতি বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া কবে শুরু হবে, তা নিয়ে কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের মধ্যেও নানা প্রশ্ন এবং বিভ্রান্তি আছে। বুধবার এই বিষয়ে কংগ্রেসের সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কেসি বেণুগোপাল ট্যুইট করে জানান, কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করতে ২৮ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি বৈঠকে বসবে। ভার্চুয়াল ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন সোনিয়া গান্ধী।এই বৈঠকেই পরবর্তী সভাপতি নির্বাচনের দিন স্থির করা হবে।
২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পরই দলের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন সোনিয়া গান্ধী।দলের জাতীয় সভাপতি আর হতে চান না রাহুল গান্ধী। শারীরিক অসুস্থতার কারণে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতির দায়িত্ব ছাড়তে চাইছেন সোনিয়াও। এই অবস্থায় গেহলটেই মন স্থির করতে চাইছে দল। মঙ্গলবার গেহলট-সোনিয়া বৈঠকের পরে এই ধারণা জোরদার হয়েছে। সূত্রের খবর, বৈঠকে অশোক গেহলটকে দলের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করতে বলেছেন দলনেত্রী। বর্ষীয়ান নেতাকে তিনি অনুরোধ করছেন, চিকিৎসার কারণে তাঁর বিদেশ যাওয়ার আগেই যেন দলের দায়িত্ব নেন গেহলট।
চলতি বছরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। কংগ্রেস নেতাদের একাংশ চায়, তার আগেই দলের স্থায়ী সভাপতি নির্বাচনে মন দিক কংগ্রেস।কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের আলোচ্য ইস্যু ঠিক কী হবে, তা এখনও স্পষ্ট না হলেও দলের স্থায়ী সভাপতি নির্বাচনের জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই সরব হয়েছেন দলীয় নেতাদের একাংশ। এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে নেওয়া হবে। পাশাপাশি, আসন্ন নির্বাচনে রাজ্যগুলিতে দলীয় রণকৌশল নিয়েও কথা হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে পরিবারতন্ত্রের পালে আর নতুন করে হাওয়া লাগাতে চাইছেন না সোনিয়া বা রাহুল। অ-গান্ধী কাউকে সভাপতি করিয়ে এক ঢিলে অনেকগুলি পাখি মারতে চাইছেন সোনিয়া। এতে বিজেপির পরিবারতন্ত্র অস্ত্রকে ভোঁতা করা যাবে। জল ঢালা না গেলেও অন্তত ছাই চাপা দেওয়া যেতে পারে দলীয় বিদ্রোহীদের মনে জ্বলতে থাকা আগুনে।