অনলাইন ডেস্ক : এপিসিসির কার্যনির্বাহী সভাপতি পদে ইস্তফা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ। তবে কার্যনির্বাহী সভাপতি পদে ইস্তফা দিলেও কংগ্ৰেসের প্রাথমিক সদস্য হিসেবে দলের কাজ করে যাবেন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে বলবৎযোগ্য এই ইস্তফাপত্র অসম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি ভূপেনকুমার বরার কাছে পাঠিয়েছেন বিধায়ক কমলাক্ষ। এর প্রতিলিপি দলের সংশ্লিষ্ট সকল শীর্ষ নেতার কাছেও পাঠিয়েছেন তিনি। এপিসিসির কার্যনির্বাহী সভাপতি পদে ইস্তফা দিয়েই কংগ্রেস নেতা উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ বুধবার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিজেপি জোট সরকারকে নিঃশর্তে সমর্থন করবেন বলে ঘোষণা করেছেন।
এদিকে কেবল কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থই নন, এদিন মুখ্যমন্ত্ৰীর সঙ্গে দেখা করে হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোট সরকারকে সমৰ্থন করবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন মঙ্গলদৈয়ের কংগ্রেস বিধায়ক বসন্ত দাস। এদিন কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের রাজ্য সরকারকে সমর্থন ঘোষণার পর অসমে কংগ্রেসের আরও তাবড় নেতা ও সদস্যদের বিজেপিতে যোগদানের স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এতে লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে কংগ্রেসকে আরও সমস্যায় পড়তে হবে, এটা বলাই বাহুল্য।
লোকসভা নির্বাচনের আগে একাধিক কংগ্রেস নেতা দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদানের ঘটনায় দল চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। কেননা, গত ২৮ জানুয়ারি অসম প্ৰদেশ যুব কংগ্রেসের বহিষ্কৃত সভাপতি অঙ্কিতা দত্ত এবং প্রাক্তন বিধায়ক বিস্মিতা গগৈ বিজেপিতে যোগ দিয়ে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে গুচ্ছ অভিযোগ তুলেছেন।
এছাড়া এক রাশ ‘অপমান’, ক্ষোভ বুকে নিয়ে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’র প্রাক্কালে এবং ডিমা হাসাও জেলায় উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদে দলের ভরাডুবির পর পর গত ১৩ জানুয়ারি কংগ্রেসের সঙ্গ ত্যাগ করেছেন অসম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি (এপিসিসি)-র সাধারণ সম্পাদক তথা প্রধান মুখপাত্র অপূর্বকুমার ভট্টাচার্য। তিনি অগপ-য় যোগদান করেছেন।
এদিকে কংগ্রেসের আরও দুই নেতাও দলের সঙ্গে দূরত্ব রেখে অন্য দলকে সমর্থন করবেন বলে ঘোষণা করেছেন। তাঁরা প্রাক্তন পরিষদীয় মন্ত্রী তথা প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক সিদ্দেক আহমেদ এবং বাঘবরের বিধায়ক শেরমান আলি। জানা গেছে, সিদ্দেক আহমেদ রাজ্য সরকারের জোট শরিক অসম গণ পরিষদ (অগপ) এবং শেরমান আলি এআইইউডিএফ-এ যোগদান করবেন।