অনলাইন ডেস্ক : সম্প্রতি গুয়াহাটি রেল স্টেশনে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের দুই সদস্য। জিজ্ঞাসাবাদে তারা অনেক তথ্য পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এর উপর ভিত্তি করে শুক্রবার নগাঁও জেলার সামাগুড়ি এলাকায় তদন্ত চালায় পুলিশ এবং গ্রেফতার করে মতিউর রহমান নামের এক ব্যবসায়ীকে।
আনসারুল্লাহ বাংলার দুই সদস্য বাহার মিয়া এবং রাসেল মিয়া সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীর থেকে শিলচরে আসার পথে গুয়াহাটিতে গ্রেফতার হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, তারা অসমে নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠীর নতুন দল গড়তে এসেছিল এবং স্থানীয় কিছু ব্যক্তিদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ছিল। এরপর পুলিশ বিভাগ এই ঘটনার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করে এবং শুরু হয় তদন্ত। আধিকারিকরা বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা অনেক তথ্য তুলে ধরেছে এবং এর উপর ভিত্তি করে তদন্ত এগিয়ে যায়। তাদের কথায় উঠে এসেছিল সামাগুড়ি এলাকার মতিউর রহমানের কথা। তার বাড়িতে তদন্ত চালিয়ে বেশ কিছু আপত্তিজনক জিনিসপত্র এবং নথি উদ্ধার করা হয়েছে। পর্যাপ্ত প্রমাণ থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অতীতে বেশ কিছু অভিযোগ ছিল। আধিকারিকরা বলেন, ‘সে আগেও জঙ্গিদের সিমকার্ড, নকল আধার কার্ড ও প্যান কার্ড ইত্যাদি বানিয়ে দিয়েছে বলে তথ্য রয়েছে আমাদের কাছে। তার ওপর বহুদিন ধরেই নজর ছিল তবে এবার পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া গেছে, তাই তাকে গ্রেফতার করতে অসুবিধা হয়নি। এবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং আগামীতে আদালতে পেশ করা হবে।” বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আনসারুল্লাহ বাংলার যে দুই সদস্য গ্রেফতার হয়েছে, তারা একসময় ত্রিপুরা হয়ে ভারতবর্ষে ঢুকেছিল এবং বরাক উপত্যকার উপর দিয়ে পাড়ি দিয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরে। গতবছর এই সংগঠনের দুই ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল এবং তারা জানায়, রাজ্যের কয়েকটি মাদ্রাসার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ছিল। পরবর্তীতে ওইসব মাদ্রাসায় তদন্ত চালায় পুলিশ এবং উদ্ধার হয় বেশ কিছু আপত্তিকর নথিপত্র। বাহার মিয়া এবং রাসেল মিয়া শিলচরে আসার জন্য টিকিট সংগ্রহ করেছিল, হলে সন্দেহ করা হচ্ছে তারা বরাক উপত্যকায় কিছু ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল।