অনলাইন ডেস্ক : তুলনামূলকভাবে সংখ্যা অনেকটা কমে এলেও কাছাড়ে বাল্যবিবাহ মামলায় ধরপাকড় অব্যাহত রয়েছে। আর এভাবে গ্রেফতারির সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকায় ধৃতদের রাখার জন্য ঝাপিরবন্দের নেট্রিপকে গড়ে তোলা হচ্ছে অস্থায়ী জেল হিসেবে।
জানা গেছে শিলচর সেন্ট্রাল জেলে এমনিতেই বন্দীর সংখ্যা রয়েছে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি। এসবের মাঝে বাল্যবিবাহ মামলায় ধরপাকড় শুরু হওয়ার পর থেকে ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে নতুন বন্দির সংখ্যা । এক বিশেষ সূত্রের খবর অনুযায়ী মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত জেলে পাঠানো হয়েছে বাল্যবিবাহের মামলায় ধৃত ৮১ জন বন্দিকে। এতে স্বাভাবিকভাবেই চাপ বাড়ছে জেলে। তাই এসব মামলায় আরও গ্রেফতার হলে তাদের রাখার জন্য নেট্রিপকে গড়ে তোলা হচ্ছে অস্থায়ী জেল হিসেবে। সরকারি সূত্রের খবর অনুযায়ী, শুধু কাছাড় নয় প্রয়োজনে করিমগঞ্জ এবং হাইলাকান্দি জেলায় গ্রেফতার হওয়া বাল্যবিবাহ মামলার অভিযুক্তদেরও রাখা হতে পারেন নেট্রিপের অস্থায়ী জেলে।
এদিন নেট্রিপে গিয়ে দেখা যায়, বন্দীদের ব্যবহারের জন্য একটি ভবনের পাশেই খোলা জায়গায় তৈরি করা হচ্ছে অস্থায়ী শৌচালয়। নেট্রিপে অস্থায়ীভাবে বাল্যবিবাহ মামলার বন্দীদের রাখার জন্য প্রস্তুতি চালানো হলেও, এক্ষেত্রে কিছুটা হলেও অসুবিধার সৃষ্টি হতে পারে বলে জানা গেছে। বিশেষত চার পাশের অনুচ্চ দেওয়াল টপকে কোনও বন্দির পক্ষে পালিয়ে যাওয়াটা খুব কঠিন হবে না। যদিও সরকারি এক সূত্র বলেন, এসব মামলার বন্দিরা সাধারণত কোনও দুর্ধর্ষ অপরাধী হন না। তাই তারা যে দেওয়াল টপকে পালানোর ঝুঁকি নেবেন এমন সম্ভাবনা খুবই কম। এর উপর প্রহরার ব্যবস্থাওতো থাকবে।