অনলাইন ডেস্ক : একেই বলে ওস্তাদের মার শেষ রাতে। রামানুজ গুপ্ত স্মৃতি প্রাইজমানি সুপার ডিভিশন ফুটবলে এনিয়ে তিন বার মুখোমুখি হয়েছে ইন্ডিয়া ক্লাব ও অরুণাচল এসএস। প্রথম দুবারই হেরেছে ইন্ডিয়া ক্লাব। শুধু ইন্ডিয়া ক্লাবকে দুবারের দেখায় হারায়নি। প্রতিযোগিতার ফাইনালের আগে পর্যন্ত অপরাজিত ছিল অরুণাচল এসএস। কিন্তু আজ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত ম্যাচে এসে তাদের টানা চারবার বিজয়ী হওয়ার স্বপ্নকে ভেঙে খানখান করেদিল শতাব্দী প্রাচীন ইন্ডিয়া ক্লাব। সেই সঙ্গে ২-১ গোলের জয় তুলে রামানুজ গুপ্ত স্মৃতি ট্রফি পুনরুদ্ধার করে ঘরে নিয়ে গেল লাল-সাদা বাহিনী।
একদিকে একই টুর্নামেন্টে দুবার হারের বদলা অন্যদিকে ট্রফি জয়ের হাতছানি সব মিলিয়ে সকাল থেকেই টগবগ করে ফুটছিল ইন্ডিয়া ক্লাব শিবির। এর সঠিক প্রতিফলন ঘটল মাঠে। প্রথমার্ধে ইন্ডিয়া ক্লাবের দুর্বার গতির সামনে উড়ে গেল অরুণাচল।নি:সন্দেহে টুর্নামেন্টের সেরা ম্যাচ হল আজ। সুপার ডিভিশনে খেলার মান নিয়ে দর্শক মহলে যে প্রশ্ন ওঠেছিল আজ সেটা সুদে মুলে পুষিয়ে দিল ইন্ডিয়া ক্লাব। তারা দুটি গোলই করেছে সেটপিস থেকে। ১৩ মিনিটে ইন্ডিয়া ক্লাবের পক্ষে প্রথম গোল করেন বিষ্ণু বরদলৈ। একই গতি বজায় রেখে ২৭ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে গোল দিয়ে ইন্ডিয়া ক্লাবকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন লালচুয়ান সাঙ্গা। ২-০ গোলের লিডে বিরতিতে যায় ইন্ডিয়া ক্লাব। ম্যাচের শেষ লগ্নে এসে ৮৯ মিনিটে রিথসো মেরো অরুনাচলের হয়ে একগোল করেন।ম্যাচের পর খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। খেলা শেষ হলে ইন্ডিয়া ক্লাব সচিব সুমন্ত দাস বলেন, ২০১৯ সালে শেষ বার চ্যাম্পয়ন হয়েছিল ইন্ডিয়া ক্লাব। আজকের এই জয়কে ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি সুজিত দত্ত গুপ্ত র নামে উৎসর্গ করা হয়। উল্লেখ্য, আজই সুজিত দত্ত গুপ্ত র প্রথম প্রয়ান দিবস। এদিকে ম্যাচের পর অরুণাচলের সভাপতি বাবুল হোড় ইন্ডিয়া ক্লাবে গিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে আসেন সচিব সুমন্ত দাসকে। খেলা পরিচালনা করেন আব্দুল মজিদ চৌধুরী।পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে খেলোয়াড়দের হাতে ট্রফি সহ প্রাইজমানি তুলে দেন মুখ্য অতিথি ডিডিসি রাজীব রায়,স্পনসর রুদ্র নারায়ণ গুপ্ত, শরদিন্দু ধর, প্রাক্তন ফুটবলার ফক্কর উদ্দিন, আয়োজক সংস্থার সভাপতি শিবব্রত দত্ত, সচিব অতনু ভট্টাচার্য প্রমুখ।