অনলাইন ডেস্ক : দীর্ঘদিন থেকে অবৈধ উপায়ে পাথর উত্তোলন চলছে উধারবন্দ রেঞ্জের মাড়ুয়াছড়া পাথর কোয়ারিতে। বন বিভাগের নীতি-নিয়ম লঙ্ঘন করে এস্কেভেটর লাগিয়ে জাটিঙ্গা নদী থেকে অবৈধ উপায়ে পাথর খননের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিবাদকারীদের পুলিশি শাসানির অভিযোগ রয়েছে এলাকায়।দুর্গম চন্দ্রনাথপুর এলাকার মানুষকে পানীয়জলের জন্য পুরো নির্ভরশীল এই জাটিঙ্গা নদীর উপর।বিশেষকরে বর্তমান শুকনোর মরসুমে চারদিকে যখন পানীয়জলের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে সেসময় চন্দ্রনাথপুর জিপি-র পাহাড়ি প্রত্যন্ত ইটখলা,সাবাসপুর,পানিঘাট,পানিছড়া সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ এক করুণ পরিস্থিতির মোকাবিলা করছেন। তাদের জলের একমাত্র ঠিকানা জাটিঙ্গা নদী হলেও বর্তমানে নিরুপায় সাধারণ মানুষ। স্থানীয়দের কথায়,রাতদিন জেসিবি লাগিয়ে নদী থেকে পাথর উত্তোলন চলছে। তাছাড়া জায়গাটা মানুষের ভিটেবাড়ির কাছাকাছি। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নদী পাশ্ববর্তী মানুষ। কেননা রান্না-খাওয়া,কাপড় ধোঁয়া সহ যাবতীয় কাজে তাদের নির্ভর করতে হচ্ছে নদীর জল। কিন্তু নদীতে প্রতিদিন অসংখ্য এস্কেভেটর নামিয়ে পাথর খননের ফলে একেবারে বিনষ্ট হয়ে গেছে নদীর জল। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে প্রতিবাদ সাব্যস্ত করেন এলাকার লোকেরা। তাদের অভিযোগ,শুধু বিশুদ্ধ পানীয়জল থেকেই তারা বঞ্চিত হচ্ছেন না এস্কেভেটর লাগিয়ে পাথর খননের ফলে শব্দদূষণ,প্রদূষণ ছাড়াও নদীর পাশে থাকা লোকেরা ভিটেবাড়িও হারাচ্ছেন। ক্ষুব্ধ জনগণের কথায়,বিগত বন্যার সময় পাগলা নদী হিসেবে আখ্যায়িত জাটিঙ্গার প্রলয়ঙ্করী তাণ্ডবে অনেকেই ভিটেঘর হারিয়েছেন। এখনও ভাঙনের আগ্রাসনে তটস্থ পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন অনেকে। এরমধ্যে জুটছে না পানীয়জল। এ বিশয়ে জেলাশাসকের কার্যালয় ও বড়খলা উন্নয়ন ব্লকের সামনে প্রতিবাদ জানিয়েও মিলেনি সুফল। বরং নদী থেকে এভাবে পাথর উত্তোলনে বাধা দিলে খেতে হচ্ছে পুলিশের ধমক।তারা হুঙ্কার দেন,শীঘ্র নদীতে এস্কেভেটর দিয়ে পাথর উত্তোলন বন্ধ না হলে তারা গণতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলন গড়ে তুলবেন।এ ছাড়া বন বিভাগের ভূমিকা নিয়ে তারা সন্দেহ ব্যক্ত করেন।