অনলাইন ডেস্ক : শীঘ্রই চালু হচ্ছে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ। তাতে উন্মুক্ত হবে দু’দেশের অর্থনীতির দুয়ার। রেলপথ দুইদেশের মধ্যে নতুন যুগের সূচনা করবে। বর্তমানে ত্রিপুরার আগরতলা থেকে কোন ট্রেন কলকাতা যেতে প্রায় ৩২ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এই রেলপথ চালু হলে ঢাকা হয়ে ৮-১০ ঘন্টায় কলকাতায় পৌছনো সম্ভব হবে। আর দূরত্ব কমে দাঁড়াবে ৫৫০ কিলোমিটারে। যাত্রী এবং পণ্য পরিবহণ সুবিধাভোগী হবে উভয় দেশের মানুষ। বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে দ্রুত পণ্য পরিবহণ সম্ভব হবে।
আগরতলা-আখাউড়া হয়ে ভারতের কলকাতা ও আগরতলা পর্যন্ত রেল সংযোগ স্থাপনের পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ চালু হবে। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্ক ও উপ-আঞ্চলিক কানেকটিভিটির ক্ষেত্রেও নতুন করিডোর স্থাপিত হবে। এতে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। সেপ্টেম্বরে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ১৭তম জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। সেময় বাগেরহাটে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্লান্ট ইউনিট-২, খুলনা-মোংলা বন্দর রেলওয়ে লিংক এবং আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের উদ্বোধন হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন। এসময় টাকা-রুপি বিনিময় ব্যবস্থার বিষয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ক্রেডিট কার্ডের মতো দুই ধরনের কার্ড ইস্যু করা হবে। একটি রুপি কার্ড এবং অন্যটি টাকা কার্ড। যা উভয় দেশে ব্যবহারযোগ্য। বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি বিভিন্ন কাজে ভারত ভ্রমণ করেন। তারা কার্ডটি ব্যবহার করতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে বাংলাদেশকে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনার অনুমতি দেওয়ায় ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন ভারত তাদের গ্রিডের মাধ্যমে ভুটান থেকেও বিদ্যুৎ আমদানির অনুমতি দেবে। বৈঠকে উভয়েই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। ভারতীয় হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২০২১ এবং ভিশন-২০৪১ পদক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট দেশে রূপান্তরিত করার উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, তারা খুবই ইতিবাচক সাড়া তৈরি করেছে। শেখ হাসিনা দিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে সমগ্র বিশ্বের পাশাপাশি ভারত বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথের জন্য আওয়াজ তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেন।