অনলাইন ডেস্ক : চাঞ্চল্যকর মোড় নিল সোনাইর বিধায়ক করিম উদ্দিন (সাজু) বড়ভূইয়া বনাম বিজেপি নেতা আমিনুল হক লস্কর মামলা ! স্বাক্ষর জাল করে সুপ্রিম কোর্টে ভূয়া হলফনামা পেশ করার অভিযোগ উঠল এবার ! এতে অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে এসেছে উত্তর কৃষ্ণপুর দ্বিতীয় খণ্ড গ্রামের বাসিন্দা সায়েল আহমেদ বড়ভূইয়ার। তার বিরুদ্ধে গত ১৮ আগস্ট শিলচর সদর থানায় একটি এফআইআর করেছেন আমিনুল।
সুপ্রিম কোর্টে ভুয়া নথি পেশ করার মতো গুরুতর অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর শুরু হয়েছে জোর চর্চা। এই গোটা এপিসোডে বিধায়ক করিম উদ্দিনের কোনও ভূমিকা রয়েছে কি-না, চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে এনিয়েও। এদিকে তদন্তে নেমে এখনও অভিযুক্ত সায়েল আহমেদের নাগাল পায়নি পুলিশ। তবে সায়েল ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে একটি পৃথক হলফনামা প্রেরণ করেছেন সায়েল। তার দাবি, সাজু-আমিনুল মামলার সূত্রে তিনি সুপ্রিম কোর্টে কোনও হলফনামা পেশ করেননি। কোনও অসাধু চক্র তার সই জাল করে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর সোনাইর বিধায়ক করিম উদ্দিন বড়ভূইয়ার
সুপ্রিম কোর্টে ভুয়া নথি পেশ করার মতো গুরুতর অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর শুরু হয়েছে জোর চর্চা। এই গোটা এপিসোডে বিধায়ক করিম উদ্দিনের কোনও ভূমিকা রয়েছে কি-না, চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে এনিয়েও। এদিকে তদন্তে নেমে এখনও অভিযুক্ত সায়েল আহমেদের নাগাল পায়নি পুলিশ। তবে সায়েল ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে একটি পৃথক হলফনামা প্রেরণ করেছেন সায়েল। তার দাবি, সাজু-আমিনুল মামলার সূত্রে তিনি সুপ্রিম কোর্টে কোনও হলফনামা পেশ করেননি। কোনও অসাধু চক্র তার সই জাল করে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর সোনাইর বিধায়ক করিম উদ্দিন বড়ভূইয়ার
শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট -এর বৈধতা নিয়ে গৌহাটি হাইকোর্টে একটি মামলা করেন আমিনুল হক। এরপর হাইকোর্টে মামলা গ্রহণ না করার আবেদন জানান করিম উদ্দিন। কিন্তু দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর করিম উদ্দিনের আবেদন খারিজ করে দেয় উচ্চ আদালত। শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। প্রায় দু’বছর আইনি লড়াইয়ের পর মামলা যখন নিষ্পত্তির মুখে, হঠাৎ করে সাহিল আহমেদ বড়ভূঁইয়া গৌহাটি হাইকোর্টে এক হলফনামা পেশ করে জানান, প্রাক্তন বিধায়ক আমিনুল হক লস্কর একজন সমাজ বিরোধী। তাঁর বিরুদ্ধে ঝুলছে বেশ কয়েকটি মামলা। এই পরিস্থিতিতে করিম উদ্দিন যদি মামলায় হেরেও যান, আমিনুল হক লস্করকে যেন কোনওভাবেই সোনাইর বিধায়ক বলে ঘোষণা না করা হয়। সায়েলের এই অভিযোগকে হাতিয়ার করে আদালতে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেন করিম উদ্দিন। এবং মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। গত ১৩ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টে ছিল সেই মামলার শুনানির দিন। কিন্তু হঠাৎ করে দেখা যায় সুপ্রিম কোর্টেও হলফনামা পেশ করে একই আবেদন করেছেন সায়েল। যে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ২২ আগস্ট ধার্য করে আদালত। কিন্তু দেখা যায় সাহিল আহমেদ লস্কর যে হলফনামাটি জমা দিয়েছেন তা ভুয়ো। কারণ, হাইকোর্টে দাখিল করা তার আগের হলফনামা বা অন্যান্য নথিপত্রের স্বাক্ষরের সঙ্গে এ স্বাক্ষরটি একেবারেই মিলছে না। এরপরই ভিন্ন মোড় নেয় মামলা। আমিনুল হক লস্কর এ দিন টেলিফোনে জানান, আগামীকাল দিল্লি গিয়ে তিনি এ ব্যাপারে স্পষ্টীকরণ চাইতে পারেন। সুপ্রিম কোর্টে সাহিল আহমেদ লস্করও একটি হলফনামা পেশ করে দাবি করছেন, তিনি এই মামলায় কোনও হলফনামাই জমা দেননি। তাহলে সই জাল করে ভুয়ো হলফনামাটি তৈরি করল কে ! তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা সায়েল আহমেদের ভূয়ো হলফনামাটি গৌহাটি হাইকোর্ট থেকে করা। এটি প্রস্তুত করেছেন বরুয়া পদবীর এক আইনজীবী। নোটারি করেছেন যিনি, তার পদবিও বরুয়া। সব মিলিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।