অনলাইন ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অর্থে গৃহনির্মাণ নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠল সোনাই সাতকরাকান্দি জিপিতে। এ নিয়ে জিপির নয় নম্বর গ্রুপ (ঝঞ্জারবালি)-এর বাসিন্দা রাজিব উদ্দিন লস্কর নামে এক ব্যক্তি নালিশ জানিয়েছেন জেলাশাসককে। তার অভিযোগ, ধনী ব্যক্তিদের দরিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী লোক সাজিয়ে তাদের নামে বরাদ্দ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস। এদের মধ্যে রয়েছেন একজন সরকারি চাকুরেও। এই ধনী ব্যক্তিরা কেউ টাকা পেয়ে কোনও ঘর তৈরি না করে পুরোটাই আত্মসাৎ করে নিয়েছেন। আর কেউবা প্রাপ্ত টাকার সঙ্গে আরও টাকা জুড়ে তৈরি করতেন বড় বড় দালানগৃহ।
জেলাশাসকের যাতে পেশ করা অভিযোগনামায় রাজিব উদ্দিন এনিয়ে সোনাই উন্নয়ন খন্ডের বিডিও সহ জিপির নয় আর দশ নম্বর গ্রুপের বাসিন্দা সাহাবম উদ্দিন বড়ভূঁইয়া, আব্দুল কালাম বড়ভূঁইয়া, চান্দু মিয়া লস্কর, শাহিন আহমদ লস্কর ও আব্দুল হাকিম লস্করকে অভিযুক্ত করেছেন।
অভিযোগনামায় রাজীব উল্লেখ করেছেন বিগতদিনে তিনি সাহাবাম উদ্দিন বড় ভূঁইয়া সহ অন্যান্যদের নামে প্রধানমন্ত্রী আবাসের অর্থ বরাদ্দ হওয়া নিয়ে সোনাইর বিডিওর কাছে নালিশ জানিয়ে ছিলেন। এরপর তদন্তক্রমে তাদের নামে অর্থ বরাদ্দ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে রহস্যজনকভাবে ফের অর্থ বরাদ্দ হয়ে যায়। তার অভিযোগ অনুযায়ী আব্দুল হাকিম লস্কর একজন সরকারি চাকরিজীবী। এরপরও তিনি দরিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী লোক সেজে তার নামে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অর্থ বরাদ্দ করিয়ে নিয়েছেন। ইতিমধ্যে তিন কিস্তিতে পুরো টাকা পেয়ে তিনি শুধুমাত্র একটি গোয়াল ঘর তৈরি করে বাকিটা আত্মসাৎ করে নিয়েছেন। একইভাবে সাহাবম উদ্দিন এবং চান্দু মিয়া ধনী লোক হওয়া সত্ত্বেও নিজেদের দরিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী লোক প্রতিপন্ন করে প্রধানমন্ত্রী যোজনার তিন কিস্তি টাকা পেয়েছেন। এবং এর সঙ্গে আরও টাকা মিলিয়ে তৈরি করছেন বড় দালান গৃহ। আব্দুল কালাম বড় ভূঁইয়া এবং শাহীন আহমদ কোনও ঘর তৈরি না করে পুরো টাকাটাই আত্মসাৎ করেছেন।
এভাবে অভিযোগ এনে রাজিব উদ্দিন এ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা শাসকের উদ্দেশ্যে আর্জি জানিয়েছেন।