অনলাইন ডেস্ক : নদী থেকে উদ্ধার হল রামনগর দ্বিতীয় খন্ড টিলা গ্রামের নিখোঁজ যুবক টিংকু দাস (৩২)-এর মৃতদেহ। এই ঘটনাকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্যের।
গত সোমবার রাত থেকে নিখোজ ছিলেন টিংকু। বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীকোনা এলাকায় বরাক নদীতে তার মৃতদেহ ভেসে ওঠে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। টিংকুর পত্নী
রাখী রানী দাসের বয়ান অনুযায়ী বদরপুর জুমুবস্তির বাসিন্দা তার বোন চিকিৎসাধীন রয়েছেন শ্রীকোনা কল্যাণী এলাকার হাসপাতালে। সোমবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিট নাগাদ বোনের জন্য খাবার নিয়ে বাড়ি থেকে রওনা হয়েছিলেন টিংকু, সঙ্গে ছিলেন ভগ্নিপতি বাপ্পা দাসও। ওইদিন রাতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর টিংকুর সন্ধান মেলেনি। বাপ্পাকে জিজ্ঞেস করেও কোন সদুত্তর পাননি।
এদিকে বাপ্পা কোনও সদুত্তর দেননি বলে রাখি জানালেও তাদের ঘনিষ্ঠ অন্য একজন জানিয়েছেন ভিন্ন কথা। ওই ব্যক্তির বয়ান অনুযায়ী, বাপ্পা তাদের যে বয়ান দিয়েছেন সে অনুযায়ী, সোমবার রাতে টিংকু ও বাপ্পা রোগীর জন্য খাবার নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে পুলিশের টহলদারি বাহিনীর সামনে পড়ে যান। পুলিশ দেখে টিংকু হঠাৎ করে দৌড়ে পালিয়ে যান। তখন বাপ্পাকে পুলিশকর্মীরা জিজ্ঞাসা বাদ করে যেতে দেন।
পুলিশ এই মুহূর্তে টিংকুর মৃত্যু নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে রাজি নয়। টিংকু টহলদারি পুলিশ কর্মীদের দেখে পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে বাপ্পাকে উদ্ধৃত করে তার ঘনিষ্ঠরা যে কথা বলছেন, এনিয়েও পুলিশ কিছু বলতে রাজি নয়। টিংকুর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ রয়েছে কিনা, যার দরুন তিনি এভাবে টহলদার বাহিনীকে দেখে পালাতে পারেন এনিয়েও মুখ খুলছে না পুলিশ। পুলিশের এক সূত্র জানান ঘটনার পেছনে কোনও রহস্য লুকিয়ে রয়েছে কিনা এনিয়ে নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।