অনলাইন ডেস্ক : স্ত্রী র সঙ্গে সংসার ভালো চলছে না স্বামীর। স্বামীর শারীরিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাপের বাড়ি চলে আসেন রুমা বেগম (২৫)। বাপের বাড়ি এসেও রক্ষা হচ্ছেনা রুমা বেগমের।এখানে এসে স্ত্রী কে না পেয়ে শ্বশুর শ্বাশুড়ীর উপর প্রাণঘাতী হামলা চালায় বিকৃত চরিত্রের জামাইবাবু আবজল খান (৩৫)। তার বাড়ি শিলচর সদর থানা এলাকার বেতুকান্দিতে। তার শ্বশুর বাড়ি লক্ষীপুর থানা এলাকার চিরিপার প্রথম খন্ড গ্রামে। সোমবার রাতে চিরিপারে খোদ শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে এই জঘন্য কান্ড ঘটায় আবজল। চিরিপারের আলা উদ্দিনের কন্যা রুমা বেগমের সঙ্গে ২০১৭ সালে বিয়ে হয় আবজলের। বিয়ের পর থেকে রুমাকে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে আবজল। তাই কয়েক মাস পূর্বে পিত্রালয়ে চলে আসেন রুমা। গতকাল সোমবার রাত অনুমান ন’ টায় আবজল ও তার এক সঙ্গী হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে চিরিপারে তার শ্বশুর আলা উদ্দিনের ঘরে প্রবেশ করে।ঘরে ডুকে স্ত্রী কে না পেয়ে শ্বশুর আলা উদ্দিন (৫৫),শ্বাশুড়ি মেহেরুন নেছা (৫০) এর উপর আক্রমণ করে। তাদের চীৎকার শুনে পাশের ঘর থেকে এগিয়ে আসেন আলা উদ্দিনের বড় ভাই আব্দুর রশিদ (৬০)। তিনজনের উপর দিয়ে ধারালো ডেগার দিয়ে কোপ বসায় আবজল ও তার সঙ্গী। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আব্দুর রশিদ, আলা উদ্দিন, মেহেরুন নেছা মারাত্মক আহত হয়েছেন ।তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম হয়েছে। এই হামলার সময় গ্রামের বা আশেপাশের মানুষ স্থানীয় মসজিদে তারাবির নামাজে ছিলেন। চিৎকার শুনে মসজিদ থেকে লোকজন বেরিয়ে আসেন। তখনই আবজল ও তার সঙ্গী পালিয়ে যাওয়ার সময় আবজল কে ধারালো অস্ত্র সহ পাকড়াও করেন স্থানীয় লোকজন। তাকে কিছু উত্তম মধ্যম দিয়ে আটকে রেখে খবর দেওয়া হয় পুলিশের কাছে। বাঁশকান্দি ও লক্ষীপুর থেকে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। পুলিশের সহযোগিতায় আহতদের প্রথমে আলিপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর আহতদের শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্হানান্তর করা হয়েছে। আহত আব্দুর রশিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন। অন্যদিকে ধৃত আবজলেরও চিকিৎসা চলছে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এর আগেও এভাবে শ্বশুর বাড়িতে এসে আবজল আক্রমণ করেছিল বলে জানা যায়।