অনলাইন ডেস্ক : রাজ্যের হস্ততাঁত এবং বস্ত্রশিল্প সঞ্চালকালয় উদ্যোগে বিভিন্ন জেলার সঙ্গে কাছাড় জেলায়ও স্বনির্ভর নারী প্রকল্পর ক্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়। শিলচর হস্ততাঁত এবং বস্ত্রশিল্প সহকারী সঞ্চালকের কার্যালয়কে এই বস্ত্র সামগ্রী ক্রয় করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। ৯ জানুয়ারি থেকে ১৫ কর্মদিবস পর্যন্ত এই বস্ত্র সামগ্রী ক্রয় করা যাবে এবং প্রয়োজন সাপেক্ষে সময়সীমা পরবর্তী ১৫ কর্মদিবস পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হতে পারে।এই প্রকল্পের অধীনে নির্ধারিত নিরিখে নির্বাচিত সামগ্ৰী সমূহ ক্রয় করা হবে।ক্রয় কেন্দ্রে কেবল স্বনির্ভর নারী প্রকল্পের গৃহীত নির্দেশনাবলীতে উল্লখিত ৩১ প্রকার পরম্পরাগত সামগ্রী ক্রয় করা যাবে। তবে তাঁতশিল্পীরা মাত্র একবারই সামগ্রী বিক্রয় করতে পারবেন। প্রত্যেক তাঁত শিল্পীর কাছ থেকে মোট একশটি পরম্পরাগত বস্ত্র ক্রয় করা যাবে। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রকারের গামছা, বড় আর ‘নাই, কার্বি পহ, মণিপুরী খুদেই (অংগবস্ত্র), রাভা পাজার, ডিমাসা রিচা-বাচা, মিচিং ডুমের এবং এরক’গ, কোচ-রাজবংশী গামছা, তিয়া ফালি এবং দেউরী গামছা। এরজন্য তাঁতশিল্পীগন যে সকল নথিসমূহ সঙ্গে আনতে হবে সেগুলি হচ্ছে বেংক পাসবুক, স্বনির্ভর নারী পর্টেলে পঞ্জীয়নের নথি, আধার কার্ড / ভোটার কার্ড / সূতার পাসবুক (যে কোনো একটি) ইত্যাদি।
শুক্রবার শিলচরে জেলা হস্ততাঁত এবং বস্ত্রশিল্প সহকারী সঞ্চালকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কাছাড়ের জেলা উন্নয়ন আয়ুক্ত রাজীব রায় মুখ্য অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলার তাঁতশিল্পীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মহিলা তাঁতশিল্পীরা বাড়িতে বসে বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করে এখানে এসে বিক্রয় করতে পারলে আর্থিক দিক থেকে তারা স্বাবলম্বী হতে পারবেন। তিনি গ্রামাঞ্চলে থাকা বিভিন্ন ভাষাভাষী, জাতি ইত্যাদির নিজ নিজ পরম্পরাগত বস্ত্রশিল্প সরকারি উদ্যোগে ক্রয় করা হচ্ছে বলে জানান এবং বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর বস্ত্রশিল্প পরিদর্শন করে তিনি ভূয়সী প্রশংসা করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন হস্ততাঁত এবং বস্ত্রশিল্প সহকারী সঞ্চালক উৎপল কুমার শর্মা।তিনি বলেন, স্বনির্ভর নারী প্রকল্পের ক্রয়কেন্দ্র হিসেবে শিলচরেও নির্ধারিত নিরিখে নির্বাচিত সামগ্ৰী সমূহ ক্রয় করা হবে। সরকারি নির্ধারিত মূল্য ন্যূনতম ২৪৫ টাকা থেকে শুরু করে অধিক মূল্যের সামগ্রী ক্রয় করা হবে। অন্যান্যদের মধ্যে বিভাগীয় আধিকারিক আব্দুল মুনাফ, জেলার ডিআইসি-এর সহকারী ম্যানেজার আলী আকবর, আলী আহমেদ লস্কর সহ বিভিন্ন আধিকারিকগণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।