অনলাইন ডেস্ক : এলাকা দখলকে ঘিরে শিলচরে ফের শুরু হয়েছে বৃহন্নলাদের লড়াই। এবার বৃহন্নলা দের এক গোষ্ঠীর প্রধান নন্দিনী সাহা ওরফে নন্দিনী হিজড়া এজাহার দায়ের করেছেন অন্য গুষ্টির প্রধান অঞ্জনা সরকার ওরফে অঞ্জনা হিজড়া এবং তার সঙ্গী সাথীদের বিরুদ্ধে।
শিলচরে নন্দিনী গুষ্টি এবং অঞ্জনা গুষ্টি আস্তানা গেড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। শিলচরে আস্তানা গেড়ে এই দুই গুষ্টি সমগ্র জেলা জুড়ে অর্থ সংগ্রহ করে থাকে। এই দুই গোষ্ঠীর মাঝে আবার রয়েছে অন্য এক ছোট গুষ্টি। তামন্না ঘোষের নেতৃত্বাধীন এই গুষ্টি কখনও অঞ্জনা গুষ্টি কখনো বা নন্দিনী গুষ্টির সঙ্গে হাত মিলিয়ে অর্থ সংগ্রহ করে থাকে। আসলে তামান্না গুষ্টির লোকবল কিছু কম হওয়ায় তারা সুবিধা বুঝে কখনো এই গুষ্টি, কখনো ওই গোষ্ঠির সঙ্গে হাত মিলিয়ে চালায় নিজেদের কারবার। খবর অনুযায়ী কিছুদিন ধরে অঞ্জনা সরকার গুষ্টির সঙ্গে দহরম মহরম চলছে তমন্না গুষ্টির। আর নন্দিনী গোষ্ঠীর সঙ্গে এই দুই গুষ্টির শত্রুতা পৌঁচেছে চরমে।
নন্দিনী সাহা বৃহস্পতিবার শিলচর সদর থানায় এক এজাহার দায়ের করেছেন। তার অভিযোগ, গত মঙ্গলবার অঞ্জনা ও তামন্নার সম্মিলিত গোষ্ঠির সদস্যরা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বিবাদ মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলে তাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যান শিলচর চেংকুড়ি রোডে তমন্নার ডেরায়। সেখানে শেকল দিয়ে তার হাত-পা বেঁধে তাকে মারপিট করা হয়। এরপর একটি কাগজে অঞ্জনাদের কাছ থেকে তিনি ১০ লক্ষ টাকা নিয়েছেন বলে লিখে তাকে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করা হয়।
এভাবে অভিযোগ করে নন্দিনী জানান, অঞ্জনারা কাগজে তার স্বাক্ষর নিয়ে তাকে বলেন প্রতি মাসে তিনি যেন অঞ্জনা ও তমন্নাকে পাঁচ হাজার টাকা করে দিয়ে দেন। অন্যথায় তাকে ও তার গোষ্ঠীর সদস্যদের এ অঞ্চলে চাঁদা সংগ্রহ করতে দেওয়া হবে না।
নন্দিনীর এই অভিযোগ নিয়ে অঞ্জনা সরকারের বক্তব্য জানতে তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
প্রসঙ্গত এলাকা দখলে নন্দিনী ও অঞ্জনা গুষ্টির বিবাদকে ঘিরে বিগত দিনে শিলচরে আতঙ্কময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। সারা দেশ থেকে কয়েক শত বৃহন্নলা হাজির হয়েছিলেন শহরে। পরবর্তীতে বাইরের বৃহন্নলারা ফিরে গেলেও শহরবাসীর মনে এখনো রয়ে গেছে এই আতঙ্কের স্মৃতি। এবার যেভাবে দুই গুষ্টি ফের বিবাদে জড়িয়ে পড়েছে, এতে ফের না সারাদেশ থেকে শত শত বৃহন্নলা এসে হাজির হন শহরে, জেগে উঠেছে এই আশঙ্কা।