অনলাইন ডেস্ক : অপহরণের পর ধর্ষন করা হলো বছর ১১-র ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী নাবালিকাকে। নির্যাতিতা এই ছাত্রী শহরের হাইলাকান্দি রোডের বাসিন্দা। পুলিশ এই ঘটনায় গ্রেফতার করেছে তিন যুবককে। ধৃত তিনজন হল সোনাই রোডের মিজোরাম সার্কিট হাউসের বিপরীত দিকের বাসিন্দা সৌরভ দেবনাথ(২০),ছোট দুধ পাতিলের মিল্টন দাস (২৩) ও সোনাই রোড রাঙ্গিরখাড়ি সংলগ্ন এলাকার সঞ্জয় সূত্রধর ওরফে লাল (২৩)।
পুলিশের এক সূত্র জানান, গত সোমবার ছিল ওই নাবালিকার এক বান্ধবীর জন্মদিন। জন্মদিন উপলক্ষে গান্ধীবাগে মিলিত হয়ে তারা কয়েকজন ছোটখাটো এক পার্টির আয়োজন করে। পার্টির পর নাবালিকা ছাত্রী বাড়ি ফেরার পথে তাকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর, অনেক রাত পর্যন্ত নাবালিকা বাড়িতে না ফেরায় তার পরিবারের লোকেরা শুরু করেন খোঁজখবর। মেয়ের সন্ধান না পেয়ে রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ তারা রাঙ্গিরখাড়ি পুলিশ আউটপোস্টে ব্যাপারটা জানান।এরপর রাতভর তল্লাশি চালিয়ে সোনাই রোড রবীন্দ্র সরণির এক পরিত্যক্ত ঘর থেকে ভোরের দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়ার পর সে জানায়, বান্ধবীর জন্মদিনের অনুষ্ঠান শেষে অন্য দুজন বান্ধবীর সঙ্গে সে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ওই দুই বান্ধবী তাকে হাইলাকান্দি রোডে তার বাড়ির কাছে ছেড়ে যায়। তখন মিল্টন ও সঞ্জয় তাকে পেয়ে ভয় দেখিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায় শিলকুড়ি এলাকায়। শিলকুড়িতে পৌঁছার পর তারা দুজন একটি ঘরে নিয়ে তার উপর পাশবিক বাসনা চরিতার্থ করতে উদ্যত হয়। সে বাধা দিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে মিল্টন ও সঞ্জয় নিরস্ত হয়ে তাকে ফের নিয়ে আসে শহরে। তবে শহরে পৌছার পরও তাকে ছেড়ে দেয়নি, ভয় দেখিয়ে ফের চুপ থাকতে বাধ্য করে নিয়ে যায় সোনাই রোডে। সেখানে তাকে তুলে দেয় সৌরভের হাতে। এরপর সৌরভ রবীন্দ্র সরণীর ওই পরিত্যক্ত করে তাকে নিয়ে ভয় দেখিয়ে বলপূর্বক চরিতার্থ করে পাশবিক বাসনা। বেশ কিছুক্ষণ ধরে অপকর্ম চালিয়ে তাকে ওই পরিত্যাক্ত ঘরেই রেখে সৌরভ সরে পড়ে। সৌরভ সড়ে পড়লেও ততক্ষণে অনেক রাত হয়ে যাওয়ায় সে ভয়ে সেখান থেকে বের হয়নি। এর মধ্যেই পুলিশ ভোরের দিকে উদ্ধার করে তাকে।
নাবালিকা ছাত্রীর কাছ থেকে পুরো ঘটনার কথা জানার পর তার পরিবারের লোকেরা এ নিয়ে থানায় দায়ের করেন এজাহার। এর ভিত্তিতে মামলা নথিভুক্ত করে বুধবার গ্রেফতার করা হয় সৌরভ মিল্টন ও সঞ্জয়কে। গ্রেফতারের পর এদিনই তিনজনকে আদালতে পেশ করা হয়। আদালতের অনুমতিতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে দুই দিনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে পুলিশ রিমান্ডে।