অনলাইন ডেস্ক : ভয়ঙ্কর, ভয়াল নাকি আরও কিছু? শিলচরের বেহাল রাস্তাঘাটের করুণ অবস্থা বয়ানে ঠিক কোন বিশেষণটি উপযুক্ত, খুঁজে পাচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরাও। শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিম___চৌদিকে-ই রাস্তাঘাটের হাল এতটাই বেহাল যে, তা সংজ্ঞায়িত করার মতো নয়।
রাস্তায় গর্তের মিছিল। মেডিক্যাল রোডে রাস্তার মাঝখানেই তৈরি হয়েছে ছোটখাটো একটা জলাশয় ! চলাচল করতে গিয়ে রোজ নাভিশ্বাস ওঠছে শহরবাসীর। কঙ্কালসার রাস্তায় প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা। অথচ এ সব নিয়ে সরকার কিংবা সংশ্লিষ্ট বিভাগের কোনও হেলদোল নেই। আশ্চর্যজনকভাবে নীরব শিলচরের জনপ্রতিনিধি সহ অন্যান্যরাও। এই পরিস্থিতিতে রাস্তা তুমি কার, জানতে চাইছেন আম জনতা। শহরের ক্যাপিটাল মোড় থেকে রাঙ্গিরখাড়ি পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা খুঁড়ে ফেলায় সৃষ্টি হয়েছে চরম বিশৃঙ্খলার। বিশেষ করে ডিআই অফিসের সম্মুখভাগ থেকে দেবদূত মোড় পর্যন্ত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে রাস্তা। সড়কের পরিসর কমে যাওয়ায় রোজ -ই যানজটের কবলে পড়ছে এলাকাটি। এই পথে শহরের সেন্ট্রাল রোড, প্রেমতলা ধরে এগিয়ে গেলে নজরে পড়ে, হাসপাতাল রোড পর্যন্ত রাস্তার বাঁদিকে পাইপ বসানোর নামে রাস্তা খুঁড়ে ফেলা হয়েছে। শুধু এ-ই নয়, সিভিল হাসপাতালের সম্মুখভাগেই সড়কের মাঝ বরাবর বেশ বড় অংশ পড়ে আছে কাটা অবস্থায়। যেখানে প্রায় প্রতিদিনই যানবাহন যাচ্ছে ফেঁসে। সবচেয়ে ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে মেহেরপুরে।
শিলচর মেহেরপুরে শহর থেকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার রাস্তায় গ্রিনপার্কের কাছে রাস্তার ওপর তৈরি হয়েছে আস্ত একটা পুকুর। দীর্ঘদিন থেকেই বিরাজ করছে এমন পরিস্থিতি। রাস্তার এই অবস্থার দরুণ স্থানীয়রা তো বটেই, ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগীরাও। পুকুরসম গর্তের দরুন সৃষ্টি হওয়া যানজটে রোগীদের নিয়ে আটকে যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে অনেকেরই। কিন্তু কেউই সংস্কারকাজের ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নেননি। রাঙ্গিরখাড়ি পয়েন্ট থেকে সোনাবাড়িঘাট পর্যন্ত রাস্তাঘাটের একই ছবি। একপশলা বৃষ্টিতেই নাগাটিলা, উত্তর কৃষ্ণপুর থেকে সোনাবাড়িঘাট পর্যন্ত অনেক যায়গায় রাস্তা খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর হয়ে ওঠে। কিন্তু রাস্তা সংস্কার করার কোনও উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয় না। সবমিলিয়ে যেন এক অভিভাবকহীন শহরে পরিনত হয়েছে শিলচর। এরমধ্যে-ও প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে করতে হচ্ছে চলাচল। মুমূর্ষু রোগী, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া থেকে শুরু করে এই তালিকায় রয়েছেন নবীন-প্রবীণ সবাই। কিন্তু নির্বিকার সরকার ও জনপ্রতিনিধিরা।