অনলাইন ডেস্ক : চাঞ্চল্যকর ঘটনা সংঘটিত হল উদারবন্দ থানা এলাকার শালগঙ্গায়। মঙ্গলবার গভীর রাতে প্রতিকূল আবহাওয়ার সুযোগ নিয়ে এখানকার ঐতিহ্যবাহী শ্রী রাধাবল্লভ রাই কালাচাঁদ আশ্রমে দুষ্কৃতকারীরা মূল ফটকের উপরে থাকা রাধাকৃষ্ণের যুগল মূর্তি ভেঙে নিচে ফেলে দেয়। তাছাড়া আরেকটি গেটের উপরে সিমেন্টের কারুকাজ করা ময়ূরের মূর্তি ভাঙার চেষ্টা করে। সেসঙ্গে গেট খুলে আশ্রমের ভিতরে প্রবেশ করে একটি মন্দিরের গ্রিল ভাঙ্গে। আনুমানিক মঙ্গলবার রাত দুটোর সময় শব্দ পেয়ে আশ্রমের আবাসিকরা জেগে উঠলে দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে যায়। উদারবন্দ পুলিশ স্টেশনে সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হলে ওসি হাওকিপ চাংসান দলবল নিয়ে ২:৪০ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তখন মুল গেটের নিচে রাধাকৃষ্ণের ভারী মূর্তিটি নিচে ফেলা অবস্থায় ছিল। তাছাড়া সব দিকে দুষ্কৃতির তাণ্ডবের একটা পরিষ্কার ছাপ পরিলক্ষিত হয়। উদারবন্দ থানার ওসি আশ্রম পরিচালন কমিটির কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেন যাতে বিষয়টি কাউকে না জানানো হয় এবং তিনিই ভেঙে ফেলা মূর্তি যথাস্থানে বসানোর পদক্ষেপ করবেন। তবে বুধবার সকালে স্পর্শকাতর খবরটি ছড়িয়ে পড়লে আশ্রমে ছুটে আসেন বিজেপি মন্ডল সভাপতি নবারুণ চক্রবর্তী সহ অনেকে। সংবাদ মাধ্যমের কাছেও খবর চলে আসে। বুধবার সকালে আশ্রমের প্রধান কর্মকর্তা বরেণ্য গোস্বামী সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার বিবরণ জানিয়ে বলেন, তিনি এই অপ্রত্যাশিত ঘটনায় স্তম্ভিত। কেননা জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলের অত্যন্ত শ্রদ্ধার কেন্দ্রস্থল সুপ্রাচীন কালাচাঁদ আশ্রমের কেউ ক্ষতি করতে চাইবে, সেটা তার কল্পনার বাইরে ছিল। তবে তিনি এর সঙ্গে কোন ধর্মীয় কারণকে কাঠগড়ায় দাড় করাতে রাজি নন। বরেণ্য কেবল এটাই চান যাতে পুলিশ এই জঘন্য অপরাধের তদন্ত করে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অন্যদিকে বিজেপি মন্ডল সভাপতি নবারুণ চক্রবর্তী এটিকে সনাতন ধর্মের উপর আঘাত বলে অভিহিত করেছেন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন। উল্লেখ্য, আশ্রমের মূল গেটে দুটো সিসি ক্যামেরা বসানো থাকলেও সেগুলো অকেজো বলে জানালেন বরেণ্য গোস্বামী।