অনলাইন ডেস্ক : বাল্যবিবাহ নিয়ে ধরপাকড়ের নামে পুলিশ আতিশয্য চালাচ্ছে বলে অভিযোগে নেই এর প্রতিবাদে শিলচরে সরব হলো বিভিন্ন সংগঠন। মঙ্গলবার দুপুরে ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশে জড়ো হয়ে এসব সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশ আটক করে চার সংগঠনের নেত্রী সীমা ঘোষ, দুলালী গাঙ্গুলী, স্নিগ্ধা নাথ ও আতরজান বেগম মজুমদারকে। পরবর্তীতে অবশ্য মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় তাদের।
এদিনের বিক্ষোভে অংশ নেয় নারীমুক্তি সংস্থা, অল ইন্ডিয়া প্রোগ্রেসিভ ওমেন্স অ্যাসোসিয়েশন, ফোরাম ফর সোশ্যাল হারমনি, এআইডিএসএ সহ অন্যান্য সংগঠন। ভিক্ষোভ চলাকালীন বক্তব্য রাখতে গিয়ে দুলালী গাঙ্গুলী, স্নিগ্ধা নাথ সহ অন্যান্যরা বলেন, বাল্যবিবাহ শিশুশ্রমের মতো একটি বড় সামাজিক সমস্যা। আর্থিক অনগ্রসরতা ও শিক্ষার অভাব এর জন্য দায়ী। ধরপাকরের মাধ্যমে জনগণকে ভীত সন্ত্রস্ত করে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। এর জন্য গড়ে তুলতে হবে সচেতনতা। সঙ্গে তারা ক্ষোভের সুরে এও বলেন, ধরপাকড় করে একেকটি পরিবারকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে দুর্বিসহ অবস্থার মধ্যে। এসবের অবসান ঘটা জরুরী।
এদিকে বিক্ষোভ শুরুর কিছুক্ষণ পর খবর পেয়ে সেখানে হাজির হয় পুলিশ। সেখান থেকে চার নেত্রী সীমা ঘোষ, দুলালী গাঙ্গুলী, স্নিগ্ধা নাথ ও আতরজান বেগমকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় সদর থানায়। প্রায় ঘন্টা দুয়েক সদর থানায় আটকে রাখার পর অবশ্য তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। চার নেত্রীকে এভাবে আটক করা নিয়ে বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করা হয়েছে। বলা হয়েছে এটা গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমিয়ে রাখার স্বৈরাচারী প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়।
তবে সদর থানার ওসি অমৃত কুমার সিং জানিয়েছেন, আগাম অনুমতি না নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করা হয়েছিল। তাই বেআইনি জমায়েতের দরুন আটক করা হয় বিক্ষোভকারীদের চার নেত্রীকে। তবে পরবর্তীতে ভবিষ্যতে এভাবে আর বিনা অনুমতিতে জমায়েত বা বিক্ষোভ কার্যসূচির আয়োজন থেকে বিরত থাকবেন বলে লিখিতভাবে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।