অনলাইন ডেস্ক : দীর্ঘ দিন ঢাকায় চিকিৎসা শেষে অ্যাম্বুলেন্স পরিবারের সবাই ফরিদপুরে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন তারা। পদ্মা সেতু পেরিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় অ্যাম্বুলেন্সের গ্যাস বিস্ফোরণে চালকসহ নিহত ৮ জনের মৃত্যু হয়। পরিচয় পাওয়া গেছে। শনিবার ঢাকা-ভাঙ্গা হাইওয়ে এক্সপ্রেসের মালিগ্রাম ফ্লাইওভারে ঘটনা। নিহতদের মধ্যে তাছলিমা বেগম, মেয়ে বিউটি বেগম (৩২), ভাই মোস্তাফিজুর রহমান রিফাত (১১), বড় বোন নাসরিন বেগম (৩৮), বড় বোনের ছেলে মো. আরিফ হোসেন (১৩), মো. হাসিব হোসেন (৮), মেয়ে রাফসানা খাতুন (১)। তাদের বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার কুচিয়া গ্রামে। অ্যাম্বুলেন্স চালক মৃদুল মালো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। জানা যায়, রাজেন্দ্রপুরে কর্মরত সেনা সদস্য মাহামুদ হাসান তার শাশুড়ি তাছলিমা বেগমকে ঢাকা ইসলামিয়া হাসপাতালে হার্টের চিকিৎসা শেষে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেন। ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় যাওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সটি মালিগ্রাম ফ্লাইওভার এসে দুর্ঘটনা কবলে পড়ে। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সের চালক মৃদুল লাফ দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারলেও ভেতরে থাকা চার শিশু ও তিন নারী মার যায়। খবর পেয়ে ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ এনে অ্যাম্বুলেন্সের ভেতর থেকে সাত জনের কঙ্কাল বের করে। গ্যাস বিস্ফোরণ অ্যাম্বুলেন্সটি পুড়ে যায়। স্থানীয় হাইওয়ে পুলিশ অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা থেকে একই পরিবারের সাতজনকে নিয়ে ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।