সাময়িক প্রসঙ্গ, শিলচর, ৩১ ডিসেম্বর : দুদিনের অনুসন্ধানমূলক অভিযান, এতে বেরিয়ে এলো বড়াইল অভয়ারণ্যে পর্যটকদের আকর্ষিত করে তোলার মতো অনেক রসদ। আর এসব দেখেশুনে অসম পর্বতারোহন সংস্থার সদস্যদের আক্ষেপ, যথাযথভাবে আলোকপাত না হওয়ার দরুনই যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও পর্যটন মানচিত্রে ঠিকমতো জায়গা করে নিতে পারেনি এই অভয়ারণ্য।
বনবিভাগের উদ্যোগে গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে পুরো দুদিন অভয়ারণ্যের বিভিন্ন এলাকায় ক্যাম্প করে অভিযান চালান সংস্থার সদস্যরা। অভিযান শেষে শুক্রবার তারা বেরিয়ে আসেন অভয়ারণ্য থেকে। অভিযানকারী দলে ছিলেন পর্বতারোহণ সংস্থার ২৯ জন, ডি এফ ও তেজস মরিস্বামী সহ আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ জন এবং অভয়ারণ্য সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা কয়েকজন। প্রায় ৪০ জনের দলটি অভিযান চালানোর সময় পর্যটকদের আকর্ষণ করার মতো বিভিন্ন স্থান সহ কোন রাস্তা দিয়ে সহজে সেসব এলাকায় যাওয়া যেতে পারে, কোথায় গড়া যাবে রেস্টক্যাম্প সেসব চিহ্নিত করেছেন।
পর্বতারোহন সংস্থার সহকারী সাধারণ সম্পাদক মৃগাঙ্ক শর্মা জানান, গুয়াহাটি থেকে আসার সময় তারা ভাবতেই পারেননি যে বড়াইল অভয়ারণ্যে পর্যটকদের আকর্ষণ করার মত এত বিশাল ভান্ডার লুকিয়ে রয়েছে। অভিযান চলাকালীন তারা এসব জিপিএস মার্কিং করে এসেছেন। এবার কেউ গুগলে সার্চ করলেই সহজেই জানতে পারবেন সবকিছু।
শর্মা সহ তার সহযোগীরা বলেন বড়াইল অভয়ারণ্যের ভূ- আকৃতির সঙ্গে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার অনেকটা ফারাক রয়েছে, বরং সামঞ্জস্য রয়েছে মেঘালয়ের সঙ্গে। এরপর আক্ষেপের সুরে তারা বলেন, সেই মেঘালয় তাদের নিজেদের সব রসদ যথাযথভাবে তুলে ধরায় সে রাজ্যে সারা বছরই লেগে থাকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা। আর বড়াইলের এসব রসদ অনাবিষ্কৃত থেকে যাওয়ার দরুন এখানে বিদেশি পর্যটক তো দূর দেশীয় পর্যটকদের আনাগোনাও খুবই কম। অথচ এসব ঠিকঠাকভাবে তুলে ধরা হলে বরাক উপত্যকায় খুলে যাবে প্রকৃতি ভিত্তিক পর্যটনের দ্বার। তারা আরও জানান, এবার অভয়ারণ্যের বেশ খানিকটা জায়গা জুড়ে তারা অনুসন্ধান চালিয়েছেন। বন বিভাগ উদ্যোগী হলে পরবর্তীতে এসে বাকি এলাকায়ও চালাবেন অভিযান।
ডিএফ ও মরিস্বামী জানান, বড়াইল অভয়ারণ্যকে পর্যটন মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করতে বিভিন্ন এলাকা চিহ্নিতকরণের জন্য পর্বতারোহন সংস্থার সদস্যদের অনুরোধ জানানো হয়েছিল। তাদের অভিযানে যেসব এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে সেসব এলাকায় গড়ে তোলা হবে, প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো। যাতে এই অভয়ারণ্যকে ঘিরে আকর্ষিত হন পর্যটকরা।