অনলাইন ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)-র অধীনে কাছাড়ে গত ৩০ মাসে ঘর তৈরীর কাজ এগিয়েছে দুর্বার গতিতে। এই সময়কালে জেলায় ৯৬৮৭৭টি প্রধানমন্ত্রী আবাস মঞ্জুর হয়েছে। এরমধ্যে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত তৈরি হয়ে গেছে ৭২০২৭টি প্রধানমন্ত্রী আবাস, শতকরা হিসেবে ৭৪ শতাংশ।
বুধবার শিলচরে এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন কাছাড় জেলা পরিষদের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার রঞ্জিত কুমার লস্কর। জেলার কয়েকটি উন্নয়ন খন্ডের বিডিও সহ জেলা পরিষদের অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রঞ্জিতবাবু জানান, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা(গ্রামীণ) চালু হয়েছে ২০১৬-১৭ অর্থ বছর থেকে। এরপর থেকে
২০২১ সালের ১০ মে পর্যন্ত প্রায় ৬০ মাসে জেলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস তৈরির কাজ শেষ হয়েছে ৯৩০৩ টি। আর এর বিপরীতে ২০২১-এর ১০ মে থেকে গতকাল ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৩০ মাস সময়কালে জেলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস তৈরি হয়েছে ৭২০২৭টি। এক্ষেত্রে গোটা রাজ্যের নিরিখে কাছাড় রয়েছে দশম স্থানে, প্রথম স্থানে রয়েছে দক্ষিণ শালমারা।
রঞ্জিতবাবু গত ৩০ মাসে কাছাড়ে বিভিন্ন উন্নয়ন খন্ড ভিত্তিক প্রধানমন্ত্রী আবাস তৈরির পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, এক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে উধারবন্দ উন্নয়ন খন্ড। ওই উন্নয়ন খন্ডে মঞ্জুর হওয়া প্রধানমন্ত্রী আবাসের মধ্যে ৮৯ শতাংশেরই কাজ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাঁশকান্দি উন্নয়ন খন্ড, ওই উন্নয়ন খন্ডে শেষ হয়েছে ৮৮ শতাংশ প্রধানমন্ত্রী আবাসের কাজ। আর ৫৮ শতাংশ আবাসের কাজ শেষ হওয়া তাপাং উন্নয়ন খন্ড রয়েছে সবার শেষে। অন্যান্য উন্নয়ন খন্ডের মধ্যে বিন্নাকান্দিতে শেষ হয়েছে ৮৩ শতাংশ, বড়জালেঙ্গায়-৭৭ শতাংশ, বড় খলায়-৭৪ শতাংশ, কালাইনে-৬৯ শতাংশ, কাটিগড়ায়-৭৫ শতাংশ, লক্ষ্মীপুরে-৬৫ শতাংশ, নরসিংপুরে-৭১ শতাংশ, পালংঘাটে-৬৫ শতাংশ, রাজাবাজারে-৬৯ শতাংশ, শালচাপড়ায়-৭৪ শতাংশ, শিলচরে-৭৪ শতাংশ এবং, সোনাই উন্নয়ন খন্ডে শেষ হয়েছে ৮৩ শতাংশ প্রধানমন্ত্রী আবাসের কাজ।
এসব পরিসংখ্যান তুলে ধরে রঞ্জিতবাবু জানান, মঞ্জুরিকৃত প্রধানমন্ত্রী আবাসের মধ্যে যেসবের কাজ বাকি রয়েছে সেসব আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। তিনি জানান বিগত দিনে কাজের ক্ষেত্রে ধীরগতির জন্য
অন্যান্য কারণের সঙ্গে রাজমিস্ত্রিদের অভিজ্ঞতার অভাবও ছিল অনেকটা দায়ী। একথা অনুধাবন করে রাজমিস্ত্রিদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। এতে কাজে গতি আসে অনেকটাই।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সোনাই, উধারবন্দ, বড়খলা এবং শালচাপড়া উন্নয়নখন্ডের বিডিও যথাক্রমে হোসেন মহম্মদ মোবিন, কুবাদ আহমদ চৌধুরী, আইনুল হক মোল্লা ও ইউসুফ আহমদ সহ কাছাড় জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত কার্যকারী বাস্তকার সপ্তজিৎ দে।