নয়াদিল্লি, ১১ ডিসেম্বর : রবিবার ভারত পেল দেশের ষষ্ঠ বন্দে ভারত ট্রেন। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি সেমি হাই স্পিড ট্রেনটি ঘিরে সাধারণ মানুষের উৎসাহ উদ্দীপনার শেষ নেই। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধিতিতে তৈরি হওয়া সত্ত্বেও এটি একাধিক ক্ষেত্রে বুলেট ট্রেনকেও টেক্কা দিয়েছে। বুলেট ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিকে টেক্কা দিতে না পারলেও এটি বুলেট ট্রেনের চেয়েও দ্রুত ১০০ কিমি গতিবেগ ছুঁতে পারে। পাশাপাশি ট্রেনটি সর্বোচ্চ ১৮০ কিমি বেগে ছুটতে পারে। যদিও আপাতত ১৫০ থেকে ১৬০ কিমি গতিবেগেই ট্রেনটি চালানো হচ্ছে। এছাড়া এই ট্রেনে থাকছে অ্যাডভান্স নিরাপত্তা পরিষেবা যেমন কবচ টেকনোলজি, সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে কলিশন অ্যাভয়ডেন্স সিস্টেমও। ফলে যাত্রীরা এই ট্রেনে থাকবেন অনেক বেশি সুরক্ষিত।
এদিন বেলা ১১টায় এই ট্রেনের ফ্ল্যাগ অফ করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছত্তিশগড় থেকে মহারাষ্ট্রে এই ট্রেনটি চালু করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, বিলাসপুর-নাগপুর রুটে চলবে এই ট্রেন। আপাতত সপ্তাহে ছয় দিন চলবে এই ট্রেন। ২০১৯ সালে ভারতীয় রেল প্রথমবার বন্দে ভারত ট্রেন চালু করেছিল। তবে সেটি ছিল বন্দে ভারত ট্রেনের প্রোটোটাইপ এবং এর নাম ছিল ট্রেন ১৮। দিল্লি থেকে বারাণসী এবং কাটরা রুটে এই ট্রেন চালু করা হয়। কিন্তু নতুন বন্দে ভারত ট্রেনের আগের তুলনায় অনেক বেশি উন্নত। এগুলিতে বর্তমানে যুক্ত করা হয়েছে অ্যান্টি কোয়ালিশন সিস্টেম কবচ। বর্তমানে দেশের ৬টি রুটে চলছে এই ট্রেন। একটি রুট রয়েছে দিল্লি থেকে বারাণসী। দ্বিতীয়টি রয়েছে দিল্লি থেকে কাটরা। তৃতীয় বন্দে ভারত ট্রেনের রুট রয়েছে গান্ধীনগর থেকে মুম্বই। চতুর্থ রুটটি রয়েছে নয়াদিল্লি থেকে হিমাচল প্রদেশের অম্ব অন্দৌরা পর্যন্ত। পঞ্চম রুটটি রয়েছে চেন্নাই ও মাইসোরের মধ্যে। এদিন ষষ্ঠ রুটটি চালু করা হল।
বন্দে ভারত ট্রেনটি দেশের প্রথম সেমি হাই স্পিড ট্রেন চালু হলেও এটি নিয়ে বিতর্কের অভাব নেই। শেষ দু’মাসে চারবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। যদিও খুব বড় দুর্ঘটনা নয়, কিন্তু প্রতিবারেই তা নিয়ে শোরগোল হয়েছে। দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে প্রতিবারই এই সেমি স্পিড ট্রেনের সামনে চলে আসে গবাদি পশু। ৬ তারিখ মুম্বই-গান্ধীনগর রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সামনে চলে আসে দু থেকে তিনটি মোষ। ফলে ধাক্কা লেগে খুলে যায় ট্রেনের সামনের অংশও।