অনলাইন ডেস্ক : পোকামাকড়ের উপদ্রব নেই এমন বাড়ি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। প্রায়ই এদের উৎপাত থেকে বাঁচতে বেশ ঝঞ্ঝাট পোহাতে হয়। রান্নাঘরের আরশোলা, পিঁপড়ে থেকে বইয়ের তাক এবং কাপড়ের আলমারির পোকার জন্য নাজেহাল অবস্থা হয় গিন্নীদের। তবে কিছু ঘরোয়া উপায় জানা থাকলে এদের নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোনও দরকার পড়েনা। এইসব ঘরোয়া পদ্ধতির দ্বারা খুব সহজেই এদের উপদ্রব থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। এরকমই কয়েকটি উপায় আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।
১) নিমপাতা পোকামাকড় তাড়াতে খুব ভালো কাজ দেয়। নিমপাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে সেগুলো কয়েকটি ছোট ছোট পুঁটলিতে ভাগ করে ঘরের তাকে, আলমারিতে, বইয়ের র্যাকে, তোষকের নিচে, রান্নাঘরের কোণায় রেখে দিন। দেখবেন ধীরে ধীরে পোকামাকড়ের উপদ্রব কমে এসেছে। গুঁড়োর বদলে নিম তেলও ব্যবহার করতে পারেন। পোকামাকড়ের আস্তানা চিহ্নিত করে সেখানে নিমতেল স্প্রে করুন কিছুদিন পর পর। তবে মনে রাখবেন কাপড়ের আলমারিতে কোনো তেল স্প্রে করা যাবেনা। এতে কাপড়ে তেলের দাগ লেগে যেতে পারে।
২) ইঁদুরের উপদ্রব থেকে বাঁচতে ঘরের প্রতিটি কোণায় পুদিনা পাতা রাখলে এক সপ্তাহের মধ্যে ইঁদুরের উপদ্রব কমে যাবে। এছাড়া আট ফোঁটা পুদিনার তেল দুই কাপ জলে মিশিয়ে ঘরের কোণায় কোণায় স্প্রে করলে পোকামাকড় পালাবে। পুদিনার তেলের তীব্র গন্ধ পোকামাকড়েরা সহ্য করতে পারে না। এই মিশ্রণে ভিনিগারও মেশাতে পারেন।
৩) বেকিং সোডা যেমন সহজলভ্য তেমনি পোকামাকড় তাড়ানোর একটি নিরাপদ উপাদান রূপে বিবেচিত। ঘরের যে সব জায়গায় পোকামাকড়ের যাতায়াত অথবা বসতি রয়েছে, সেই জায়গাগুলোতে বেকিং সোডা ছড়িয়ে দিন। তিন চারদিন অন্তর সেগুলো পরিষ্কার করে ফ্রেশ সোডা ছড়িয়ে দিতে হবে। কয়েকদিন এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে সেখান থেকে পোকামাকড় পালাতে বাধ্য হবে।
৪) পোকামাকড় তাড়াতে গরম মশলাও বেশ কার্যকর। ঘরের যে সব জায়গায় পোকামাকড়ে উপদ্রব আছে, সেই স্থানগুলিতে দারচিনি, লবঙ্গ বা কালোজিরা ছড়িয়ে দিন। কিছুদিন পর পর পুরনো কালোজিরা ফেলে দিয়ে নতুন করে আবার ছড়িয়ে দিতে হবে।
৫) পোকামাকড় তাড়াতে ন্যাপথেলিন অনেকেই ব্যবহার করে থাকেন। বিশেষ করে কাপড়ের আলমারিতে যে ধরণের পোকা হয়, সেগুলোকে দূরে রাখতে ন্যাপথেলিন বেশ ভালো কাজ দেয়। কাপড়ের ভাঁজে ভাঁজে এবং আলমারির প্রত্যেক কোণায় ন্যাপথেলিন বল রেখে দিলে কাপড়-কাটা পোকার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। তাছাড়া উইপোকা তাড়াতেও ন্যাপথেলিন ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ন্যাপথেলিন গুঁড়োর সঙ্গে তরল প্যারাফিন মিশিয়ে একটি দ্রবণ তৈরি করতে হবে। তারপর দেওয়াল ও মেঝের যেসব জায়গায় উইপোকা বাসা বেঁধেছে, সেই জায়গাগুলোতে মিশ্রণটি প্রয়োগ করতে হবে।
৬) গরমকালে পিঁপড়ের জ্বালায় রান্নাঘরে খাবার রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। এর থেকে মুক্তি পেতে ইউক্যালিপটাসের তেল দু-চার ফোঁটা এক কাপ জলে মিশিয়ে সেই মিশ্রণ পিঁপড়ের যাতায়াতের পথে ছিটিয়ে দিন। দেখবেন নিমেষের মধ্যে পিঁপড়ে সেখান থেকে সরে গেছে।