অনলাইন ডেস্ক : সোনাই শিক্ষা খণ্ডের অধীন ১৫৪৬ নম্বর পানিচৌকি ট্রাইবেল এলপি স্কুলে অনিয়ম ও দুর্নীতি তথা প্রধান শিক্ষিকা কতৃক প্রতিবাদীদের উপর করা মামলায় পরিপেক্ষিতে কাছাড়ের জেলা শাসকের নির্দেশে মঙ্গলবার স্কুলে হাজির হয়েছে তদন্ত করে গেছেন সোনাই সার্কেল ম্যাজিস্ট্রট বিকাশ ছেত্রী। উল্লেখ্য ১৫৪৬ নম্বর পানিচৌকি এলপি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সামিয়ানা বেগম লস্কর সম্প্রতি স্কুলের রাধুনি ও তার স্বামীর উপর কচুদরম থানায় এক মামলা দায়ের করেন। আর এতে ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক ও স্হানিয় নাগরিকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। তাদের অভিযোগ দিনের পর দিন স্কুলে না এসে বাড়িতে বসে সরকারি মাইনে নেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সামিয়ানা বেগম লস্কর, শিক্ষিকা মধুমিতা পাল ও শিক্ষক অরুণ রুহিদাস। শিক্ষক শিক্ষিকারা সময়মতো স্কুলে আসেন না। আর এতে স্কুলের কচিকাচা ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা লাঠে উঠেছে। আর এনিয়ে প্রতিবাদ করার কারণে প্রধান শিক্ষকা সামিয়ানা বেগম লস্কর স্বামী তথা অন্য স্কুলের শিক্ষক আবুল হাসিম লস্কর স্কুলে এসে রাধুনীর সাথে দুর্ব্যবহার করেন। তাদের কথায় রাধুনীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে গিয়ে প্রধান শিক্ষিকা সামিয়ানা বেগম লস্কর কচুদরম থানায় তাদের উপর মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। শেষে বিষয়টি তোলে ধরে কাছাড়ের জেলা শাসকে স্বারকপত্র দিয়ে স্কুলে অনিয়ম ও দুর্নীতির উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানান ভুবনহিল জিপি সভাপতি নীহার রঞ্জন শুক্লবৈদ্য ও পূর্ব ধলাই জেলা পরিষদ সদস্য স্বপন কুমার দাস। তারা জেলা শাসকের কার্যালয়ে গিয়ে অতিরিক্ত জেলা শাসক তথা ডিডিসি রাজীব রায়ের হাতে স্বারকপত্র তোলে দেন। আর এরই পরিপেক্ষিতে মঙ্গলবার স্কুলে উপস্থিত হয়ে তদন্ত করে যান সোনাই সার্কেল ম্যাজিস্ট্রট বিকাশ ছেত্রী। এদিন তিনি এলাকার কৈলাসপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে ও তদন্ত করে যান।