অনলাইন ডেস্ক : শহরের এনএন দত্ত রোডে অজিত চৌবে (৪৫) নামে পুরোহিতের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও এ পর্যন্ত তেমন অগ্রগতি নেই। এর মধ্যে আবার রহস্য উন্মোচনে যে “সিসিটিভি”-র ফুটেজের উপর বিশেষ আশা করা হচ্ছিল, সেই “সিসিটিভি”ও অকেজো। তাই “সিসিটিভি”-র সূত্রে রহস্য উন্মোচনে কোনও তথ্য পাওয়ার আর সম্ভাবনা রইল না।
” অ্যরিহান্থ কমপ্লেক্স” নামে যে বহুতল ভবনের পঞ্চম তলায় ফ্ল্যাটে অজিত থাকতেন, সেই ফ্ল্যাটের পাশে রয়েছে মন্দির। মন্দিরের সামনের নাট মন্দিরে লাগানো রয়েছে সিসিটিভির ক্যামেরা। সিসিটিভির ওই ক্যামেরা চালু থাকলে রাতে অজিত ফ্ল্যাট থেকে বের হওয়ার পর তার গতিবিধির ফুটেজ পাওয়া যেত। এ থেকে ঘটনা সম্পর্কে স্পষ্ট হয়ে যেত অনেক কিছুই। যদিও সদর থানার ওসি অমৃত কুমার সিং জানিয়েছেন, নাট মন্দিরে লাগানো সিসিটিভির ওই ক্যামেরা অকেজো। তাই ফুটেজ পাওয়ার আর কোনও সম্ভাবনা নেই। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ ময়নাতদন্তের রিপোর্টের উপর অনেকখানি নির্ভর করছে বলে জানান ওসি।
সোমবার সকালে বহুতল ভবনের পাশে খালি জায়গা থেকে অজিতের মৃতদেহ উদ্ধারের পর ওইদিনই ময়নাতদন্ত করা হয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও এসে পৌঁছায়নি পুলিশের হাতে।
এদিকে অজিতের পত্নী রঞ্জনা চৌবে সহ অন্যান্য পরিজনরা সোমবার ঘটনার পর থেকেই দাবি করে আসছেন, অজিত আত্মহত্যা করার মতো লোক ছিলেন না। একই কথা শোনা গেছে, তাকে কাছে থেকে দেখেছেন অন্যান্যদের মুখেও। বহুতল ভবনের উপর থেকে নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ে অজিত আত্মঘাতী হয়েছেন, এমন সম্ভাবনার কথা তাদের কেউই মানতে চাইতেন না। আর পত্নী রঞ্জনার কথায়, মৃতদেহে আঘাতের তেমন কোনও চিহ্নই ছিল না, এত উপর থেকে ঝাপিয়ে পড়লে যেমনটা হওয়ার কথা ছিল না তেমন কিছুই। বরং মৃতদেহ দেখে মনে হয়েছে, কেউ যেন তাকে শুইয়ে রেখে গেছে কমপ্লেক্স-এর পাশে খালি ওই জায়গায়।