দেশে দিনে দিনে জিনিসের দাম বেড়ে চলেছে৷ এর উপর সম্প্রতি অতিরিক্ত জিএসটি চাপিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ পাশাপাশি কোভিড পরবর্তী সময়ে দেশে ঊর্ধ্বমুখী বেকারের সংখ্যাও৷ ৭ সেপ্টেম্বর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’৷ তার আগে রবিবারের রাজধানীতে ঐতিহাসিক রামলীলা ময়দানের সভায় ‘মেহঙ্গাই পর হল্লা বোল’-এর শোরগোল ধ্বনিত হল।
এদিন অসম সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষাধিক কংগ্রেসের নেতা, কর্মীরা জড়ো হন দিল্লিতে৷ অসম থেকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বরার নেতৃত্বে বিধায়ক-সমর্থক মিলিয়ে প্রায় ৫০০ জন সদস্য এই ‘হল্লা বোল’ কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেন। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের মিছিল মাঝপথেই পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়৷ এর আগে গত ৫ আগস্ট রাহুল-প্রিয়ঙ্কার নেতৃত্বে কংগ্রেস কালো পোশাকে দিল্লি-সহ গোটা দেশে মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব নিয়ে রাস্তায় নেমেছিল। মোদির বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচিতে তোলপাড় হয়েছিল রাজধানী৷
দিল্লিতে এই মেগা সমাবেশের মূল মঞ্চের সামনেই এদিন কংগ্রেস সমর্থকদের হাতে দেখা গেছে,’আমরা রাহুলকেই সভাপতি চাই’ লেখা প্ল্যাকার্ড। আর মঞ্চ থেকে মুহূর্তে মুহূর্তে শোনা গেল ‘রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী জিন্দাবাদ’ স্লোগান। আর রামলীলা ময়দানের সভায় ভাষণ দিলেন যারা, তাঁদের সকলের মুখেই শোনা গেল রাহুল গান্ধীর প্রশংসা এবং সকলেই তাকেই ফের কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে দেখতে চান। মোদি সরকারকে কমবেশি সকলেই আক্রমণ শানালেনও সমাবেশের মূল আকর্ষণ হয়ে ওঠেন সেই রাহুলই।
এদিকে, রাহুল গান্ধীকে পরবর্তী সভাপতি করার পক্ষে সওয়াল করেন কংগ্রেস নেতা তথা অসম প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি শরিফুজ্জামান লস্কর। তিনি বলেন, এই সমাবেশ প্রমাণ করে দিয়েছে যে বিজেপি আর বেশি দিন নেই। ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেসব কথা বলেছেন তা মনে করিয়ে দিতে চাই। ‘বহুত হুই মেহেঙ্গাই কি মার, আব কি বার মোদি সরকার’- এই স্লোগান যাঁরা দিয়েছিলেন তাঁদের সরকারই আজ মুদ্রাস্ফীতিতে নিত্যনতুন রেকর্ড গড়ছে৷ আর তার জেরেই সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন। এটা কোনও অবস্থাতেই সহ্য করা যায় না। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে দলের পরাজয়ের দায় নিয়ে সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তিনি আর দলের সভাপতি হতে চান না। তারপর থেকে সোনিয়া গান্ধী অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসাবে দল চালাচ্ছেন।