বুয়েনস আইরেস, ২০ ডিসেম্বর : বিশ্বকাপ জয়ের পর দেশে ফিরল আর্জেন্টিনা ফুটবল দল। আর্জেন্টিনা সময় মঙ্গলবার রাত ২টা ৩০ মিনিটে বিমানবন্দরে অবতরণ করে লিওনেল মেসিদের বিমান। আর মেসিদের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বকাপ পৌঁছলো আর্জেন্টিনায়। এদিকে মেসিদের আগমন উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা আর্জেন্টিনায়।
ফুটবলার ও কোচিং স্টাফদের আত্মীয়-স্বজনরা আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন বিমানবন্দরে। শুধু তা-ই নয়, মেসি-মার্তিনেসদের স্বাগত জানাতে আর্জেন্টিনা সময় অনুযায়ী, মধ্যরাতেও বুয়েনস আইরেসে জনপ্লাবন। উড়ানের চাকা রানওয়ের মাটি সবে স্পর্শ করেছে। বাঁধভাঙা উল্লাসে ফেটে পড়ল মেসি ভক্তরা। দরজা খুলে কাপ হাতে মেসি বেরিয়ে আসতেই মেসি-মেসি বলে চিৎকার। সেই চিৎকারে কেঁপে উঠল বিমানবন্দর। স্থায়ী ছিল বেশ কয়েক মিনিট। মেসির পিছনে ছিলেন কোচ স্ক্যালোনি। স্ক্যালোনির পরেই বেরিয়ে আসেন দলের ফরওয়ার্ড জুলিয়ান অ্যালভারেজ। পরে একে একে বেরিয়ে আসতে শুরু করেন বাকি খেলোয়াড়েরা। রানওয়েতে যারা দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাদের সকলের চোখ মেসির দিকে। বিমানবন্দরে মেসিদের অভ্যর্থনা জানানো হয়। এরপর ছাদখোলা বাসে করে চ্যাম্পিয়ন প্যারেড। তবে দুপুরের আগে তাদের অপেক্ষার অবসান ঘটছে না। কেননা বিমানবন্দরে অবতরণের পর দীর্ঘ ভ্রমণ ক্লান্তি দূর করতে রাতের বাকি সময়টা আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের ট্রেনিং সেন্টারে কাটাবেন মেসিরা। যা কি-না এজেইজা বিমানবন্দরের পাশেই অবস্থিত।
দুপুর হলেই সেখান থেকে ছাদখোলা বাসে করে চ্যাম্পিয়ন প্যারেড করবেস্কালোনির দল। মেসির হাতে সেই কাঙ্খিত সোনালী ট্রফিটি দেখার জন্য বাসের চারপাশে প্রচুর ভীড় হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। প্রায় ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা চলবে এই প্যারেড। উদযাপনের কেন্দ্রস্থল হিসেবে ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ব ওবেলিস্ককে ঠিক করা হয়েছে। ৩৬ বছরের অপেক্ষার পর তৃতীয়বারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা। রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে ৩(৪)-৩(২) ব্যবধানে হারায় তারা।এরপর আর্জেন্টিনার প্রতিটি আনাচে-কানাচেতে বইতে থাকে উৎসবের আবহাওয়া। প্রায় প্রতিটি রাস্তা পরিণত হয় জনসমুদ্রে। উৎসবের মাত্রাটা নিশ্চয়ই কয়েকগুণ বেড়ে যাবে, যখন মেসি তার স্বপ্নের ট্রফিটি সবার সম্মুখে আনবেন। (হি.স.)