অনলাইন ডেস্ক : ১৯৭৫ সালে শুরু হয়েছিল করিমগঞ্জ সৎসঙ্গ আশ্রম । সে সময় সৎসঙ্গীদের প্রয়াসে করিমগঞ্জ মন্দির যাত্রা শুরু করে। এরপর দীর্ঘ বছর অতিক্রম করার পর শ্রী শ্রী বাবাইদাদার আশীর্বাদ নিয়ে নতুন মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে । প্রায় চার বছর ধরে সেই পুরোনো মন্দির ভেঙে নতুন মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয় । আর এই নতুন মন্দির উদ্বোধনে আসছেন বর্তমানে সৎসঙ্গ প্রধান আচার্যদেব শ্রী শ্রী অর্কদ্যুতি চক্রবর্তী । চলতি মাসের ২১ ও ২২ তারিখ এ উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য কার্যসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে । বৃহস্পতিবার করিমগঞ্জ আশ্রমে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে আয়োজকরা জানান, সৎসঙ্গী দের এক স্বপ্ন বাস্তব হতে চলেছে । দীর্ঘদিন পর আচর্যদেব করিমগঞ্জে আসছেন । এ উপলক্ষ্যে দুদিন বিভিন্ন কার্যসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় নীলমণি স্কুলের খেলার মাঠে আয়োজন করা হবে মূল অনুষ্ঠান । ২১ তারিখ বিকেলে উৎসবের উদ্বোধনের পর দীক্ষা দান করবেন শ্রী শ্রী আচার্যদেব । তাছাড়া সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে এদিন । ২২ জানুয়ারি সকালে নব নির্মিত মন্দিরের উদ্বোধন করবেন শ্রী শ্রী আচার্যদেব । এরপর ধর্মসভা, মাতৃ সম্মেলন, সমবেত বিনতি প্রার্থনা ইত্যাদি আয়োজিত হবে । সাংবাদিক সম্মেলনে আয়োজকরা জানান, সৎসঙ্গ আয়োজনের পুরোধা শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ইষ্ট পরম্পরা আরম্ভ করেছিলেন যা আজ বিশ্বের সৎসঙ্গীদের জীবনে চলার পথ দেখাচ্ছে । শ্রী শ্রী ঠাকুরের সর্বজনীন পূর্ণাঙ্গ জীবন তন্ত্রের বিধান মানবজাতি কে অখণ্ড ঐক্যে বেঁধে রাখার কাজ করে যাচ্ছে । ভক্তি, জ্ঞান ও কর্মশক্তির মাধ্যমে জীবন চলার দিক নির্দেশ দিয়েছেন তিনি । বর্তমান ব্যক্তিগত, সামাজিক, পারিবারিক জীবনে যে বিপর্যয় ঘটছে এর মুলে রয়েছে প্রবৃত্তি পরবশতার দানবীয় লীলা ।এই সঙ্কট সময়ে প্রত্যেকটি শ্রেণীর মানুষের আদর্শ হচ্ছেন পরম দয়াল । তাঁরই জীবন্ত প্রতিভূ বর্তমান আচার্যদেব প্রান্তিক শহরে উপস্থিত হবেন যা ঈশ্বর আশীর্বাদ । তাই দুদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে সর্ব স্তরের মানুষের উপস্থিতি কামনা করেছেন আয়োজকরা । সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রসেনজিৎ দাস চৌধুরী, রাধেশ্যাম বিশ্বাস, নিখিলেন্দু দাস প্রমুখ ।