অনলাইন ডেস্ক : ‘ভাষার জন্য পৃথিবীর যেখানেই যত লড়াই হয়েছে, সেই সংগ্রামের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। শিলচরের বিষয়টা জানতাম না। বরাকে একষট্টির ভাষা সংগ্রাম… উনিশে মে জানতাম না। সহপাঠী সৌগত (সত্যজিত রায় ফিল্ম ইন্সটিটিউটের ফার্স্ট ব্যাচের ছাত্র করিমগঞ্জের সৌগত পুরকায়স্থ)-র কাছেই প্রথম শোনা। আগে তো আরও কতকিছুই জানতাম না। তার অর্থ এই নয় যে, এ নিয়ে এখন কিছু অর্থাৎ আমার অনুভূতি নিয়ে কিছু বলা যাবে না। এখানে এসেছি বলেই বলছি বা কলকাতার ফ্লাইট ধরেই বেমালুম ভুলে যাব, বিষয়টা এমন নয়।’
কথা হচ্ছিল এই প্রজন্মের জনপ্রিয় বক্তা ও তার্কিক, অসাধারণ পাণ্ডিত্যের অধিকারী, গীতিকার ও গায়ক চন্দ্রিল ভট্টাচার্যের সঙ্গে। করিমগঞ্জের আবর্ত ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন শেষে প্রসঙ্গের বাইরে গিয়ে তাঁকে এবং কলকাতার বুদ্ধিজীবী মহলে বরাকের ভাষা আন্দোলন নিয়ে উন্নাসিকতা প্রসঙ্গে বহুশ্রুত অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে দুটো শব্দেই স্বীকার করেন, ‘আমি জানতাম না।’ এ নিয়ে কোনও ভণ্ডামির আশ্রয় না নিয়েই তিনি বিমানে চেপে বিষয়টি ভুলে যাবেন, এমন আগাম সন্দেহ তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেন চন্দ্রিল।
সিনেমা নিয়ে বরাক উপত্যকার উৎসাহ ও প্রয়াস সম্পর্কে অল্পবিস্তর তাঁর জানা। সেটাও সৌগত পুরকায়স্থের সুবাদে। তা ছাড়া আটের দশকে সুপার-এইট ফরম্যাটে এই উপত্যকায় যে কাজ হয়েছিল, সেসবের কথাও জেনেছেন। বদরপুরের কবি-চলচ্চিত্র কর্মী পার্থপ্রতিম মৈত্রের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্কের সুবাদে সে সম্পর্কে আরও জেনেছেন। সাংবাদিক সম্মেলনের কথাবার্তা বা প্রশ্নোত্তরপর্বের পরে সার্কিট হাউস থেকে বেরিয়ে ভারত-বাংলা সীমান্ত দেখতে যাওয়ার আগে সংক্ষিপ্ত ও একান্ত কথোপকথনে এই কথাগুলো জানান বাঙালি জগতে এই মুহূর্তে পরিচিত লেখক, গীতিকার,গায়ক ও জনপ্রিয় বক্তা চন্দ্রিল ভট্টাচার্য।