অনলাইন ডেস্ক : করিমগঞ্জের প্রমোদনগর চা-বাগানের অংশীদারিত্ব ক্রয় করতে গিয়ে স্ত্রী-র নামে ঠিকাদারির অর্থ বিনিয়োগের দাবি নস্যাৎ করলেন কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ। পাশাপাশি, ভিজিল্যান্সের তদন্ত চললেও তাঁর কোনও দুর্নীতি নেই বলেই জোর দিলেন উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক।শুক্রবার গুয়াহাটিতে সাংবাদিকদের কমলাক্ষ বলেন, ‘আমার স্ত্রী-র নামে ঠিকাদারি চালানোর যে কথা উঠেছে তা একেবারেই ভুল। তাতে কোনও সত্যতা নেই। আমার বৌদি কাজের বরাত নিয়েছিলেন। ২০১৪ সাল থেকে ২০২৩ অবধি জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগের অধীনে তিনি মোট ৪ কোটি টাকার কাজের বরাত লাভ করেন।’ কংগ্রেস বিধায়কের মতে, গোটা উত্তর করিমগঞ্জে গত ন’বছরে যে পরিমাণ কাজ হয়েছে সেই তুলনায় এই অর্থ একেবারেই নগণ্য। তাঁর মন্তব্য, ‘আমি জোর দিয়ে বলছি যে কোনও ব্যক্তি খবর নিলেই দেখতে পাবেন যে বহু কোটি টাকার বিভিন্ন উনয়নমূলক কাজ উত্তর করিমগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে হয়েছে। এর এক অতি সামান্য অংশের বরাতই আমার বৌদি নিয়েছিলেন।’এদিন কমলাক্ষ আরও বলেন যে, সংশ্লিষ্ট চা-বাগানের শ্রমিকরা জোর দেওয়ায়ই তিনি অংশীদারিত্ব লাভ করেছিলেন। তাঁর যুক্তি, ‘অন্য মালিকের হাতে চলে যাওয়া রুখতেই শ্রমিকরা আমায় বারবার অনুরোধ করেছিলেন। তাই আরও কয়েকজনের সঙ্গে আমি বাগানের অংশীদারিত্ব নেই। তবে আমি ওই চা-বাগানে যে অর্থ বিনিয়োগ করেছি এর প্রত্যেক পয়সার হিসেব আছে। তদন্তকারী দলের কাছে সেটা সহজলভ্য।’একইসঙ্গে উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়কের সংযোজন, প্রমোদনগর চা-বাগানের অংশীদারিত্ব ছাড়া তাঁর কেবল দু’লক্ষ টাকার একটি জমি রয়েছে। তাঁর স্ত্রী-র নামেও কোনও জমিজায়গা নেই।