অনলাইন ডেস্ক : ফের পাক মন্ত্রীর মুখে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা। বিলাওয়ালের পর এবার মোদির বিরুদ্ধ্বে মুখ খুললেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার। সেইসঙ্গে দুদেশের মধ্যে শান্তি ফেরানোর বিষয়ে প্রাক্তন দুই প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী এবং মনমোহন সিংয়ের নাম উচ্চারণ করলেন তিনি।
ভারত-পাক সমস্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সততার সঙ্গে বিশদে আলোচনায় বসতে চান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ । সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি কিন্তু তাঁর দেশেরই মন্ত্রীর মত যে ভিন্ন! পাকিস্তানের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী হিনা রব্বানি খারের মতে, মোদি নন, দুই দেশের মধ্যে শান্তি ফেরাতে তাঁর পছন্দ ছিল আগের প্রধানমন্ত্রীরা। কারা তাঁরা? হিনা নাম করেছেন দু’জনের। অটলবিহারী বাজপেয়ী ও মনমোহন সিং।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক অধিবেশনে বক্তব্য রাখার সময় এমন কথাই বলতে শোনা গেল হিনাকে। দুই দেশের সম্পর্কের অবনতির বিষয়টি তিনি চাপাচ্ছেন ভারতের উপরই। তাঁর কথায়, ”আমাদের বুঝতে হবে আমরা ভূগোলটা পালটাতে পারব না। আর এটা দক্ষিণ এশিয়ার সমস্যা নয়। একান্তই ভারত-পাকিস্তানের সমস্যা। আর সমস্যাটা ভারতের তরফেই।” এরপরই তিনি জানান মনমোহন সিং কিংবা বাজপেয়ীর মতো প্রধানমন্ত্রীর আমলেই শান্তি ফেরোনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। তবে তাঁকে পালটা দিয়েছেন ‘আর্ট অফ লিভিং’ প্রতিষ্ঠাতা রবি শংকর। তিনিও ওই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন। রবি শংকর জানিয়ে দেন, সমস্যাটা ভারতের তরফে নয়, পাকিস্তানের তরফেই। কেননা ভারতের আর কোনও প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। উল্লেখ্য, সম্প্রতি পাক প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “ভারতীয় প্রশাসন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমার বার্তা, কাশ্মীরের মতো বিষয়গুলি নিয়ে বিশদে এবং সততার সঙ্গে আলোচনা হোক। এটা আমাদের উপরে যে শান্তিপূর্ণ অগ্রগতিতে মন দেব, নাকি ঝগড়া করে নিজেদের সময় এবং সম্পত্তি ধ্বংস করব। ভারতের সঙ্গে মোট তিনটি যুদ্ধ হয়েছে। এর জেরে আমাদের দুর্দশা, দারিদ্র এবং বেকারত্ব বেড়েছে। যথেষ্ঠ শিক্ষা পেয়েছি এবং শান্তিতে থাকতে চাই এখন। কিন্তু তার জন্য আমাদের প্রকৃত সমস্যাগুলির সমাধানে মন দিতে হবে।”