অনলাইন ডেস্ক : ফের বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পালের নির্বাচনী কেন্দ্রের আছিমগঞ্জ জিপিতে সংঘটিত হওয়া এক বড়সড় দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে এলো। অভিযোগ মতে,ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের কড়া রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে পাথারকান্দি বিধানসভা কেন্দ্রের আছিমগঞ্জ জিপির দুই নম্বর ওয়ার্ডে বরাদ্দ একটি কম্যুনিটি হল নির্মাণ না করে পুরো টাকা হাপিস করার ঘটনায় এলাকার সচেতন মহলে রিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে আদালতে মামলা ঠুকে সুবিচারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সমসুল হক নামের এক প্রতিবাদি ব্যক্তি। এ ব্যাপারে রবিবার দলবল নিয়ে সরেজমিনে তদন্তে নামেন পাথারকান্দি থানার এসআই এমএল সিংহ। এদিন স্থানীয়দের পক্ষে তদন্তকারী পুলিশের সঙ্গে ছিলেন এমএসএফের বরাকভ্যালি জোনের ইনচার্জ তথা ছাত্রনেতা বদরুল হক। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বদরুল হক জানান,সমসুল হকের দায়েরকৃত মামলাটি ১৬১৪/২২ নম্বরে নথিভুক্ত করেছে আদালত। তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে পুলিশ। এ কাণ্ডে আদালত সঠিক পদক্ষেপ নেবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। কেননা বর্তমান রাজ্যের বিজেপি সরকারের আমলে দুর্নীতিকে কোনওভাবে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পালের কেন্দ্রে একটি কম্যুনিটি হলের নামে বরাদ্দ কয়েক লক্ষ টাকার কাজের সাইনবোর্ড পর্যন্ত নেই। এমনকি বরাদ্দ অর্থের পুরো সরকারি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন এলাকার জনগণ। এ কাণ্ডের নেপথ্যে কতিপয় রাজনৈতিক নেতা সহ সরকারি আমলা ও কর্মী জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টির সঠিক তদন্ত সহ এ কাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বদরুল হক। পাশাপাশি এই স্থানে কম্যুনিটি হল নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র সংগঠন এমএসএফ বসে থাকবে না বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন তিনি। উল্লেখ্য,পাথারকান্দির বিভিন্ন জিপিতে সরকারি কাজে বরাদ্দ অর্থ নয়ছয়ের ঘটনা নতুন নয়। এসব নিয়ে এতদিন কেউ ভয়ে মুখ না খুললেও আগামী পঞ্চায়েত ভোটের আগে সমূহ দুর্নীতির কেচ্ছা-কাহিনী প্রকাশ্যে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন অনেকে। বিরোধী দল সহ পাথারকান্দির সচেতন নাগরিকদের তরফে এর আভাষ পাওয়া যাচ্ছে। কেননা দুর্নীতিবিরোধী সরকারের আমলে পাথারকান্দিতে দুর্নীতির মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।এই কেন্দ্রে বিগত সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণের নামে দুর্নীতি ছাপিয়ে গেছে বর্তমান সময়ে বলেও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। এখানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললে উল্টো হয়রানির সম্মুখীন হতে হয় বলেও অভিযোগ। এদিকে আছিমগঞ্জের কম্যুনিটি হলের টাকা আত্মসাতের বিষয়টি নিয়ে বিডিও দিবাকর দেবের প্রতিক্রিয়া জানতে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।ফলে এ বিষয়ে তার কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।