অনলাইন ডেস্ক : শিলচর – ধোয়ারবন্দ- লালা সড়কে ক্রুইজারের চালকরা বর্ধিত হারে ভাড়া নিচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ তুললেন যাত্রীরা। এই বিষয়টা ক্ষোভের পারদ চড়ছে এই রুটের যাত্রীদের মধ্যে। জেলা পরিবহণ অধিকারিককে স্মারকপত্র দিয়ে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তারা।
মেহেরপুর পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন স্ট্যান্ড থেকে আসাম বিশ্ববিদ্যালয় ধোয়ারবন্দ হয়ে লালা যেতে হয় যাত্রীদের। এই যাত্রীদের মধ্যে বেশিরভাগই হলেন চাকুরীজীবি। ছুটির দিন ছাড়া নিয়মিত এই রুটে তাদের আসা যাওয়া করতে হয়। কিন্তু ভাড়া নিয়ে বচসার দরুণ যাত্রীদের প্রায়ই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আচমকাই বর্ধিত হারে তাদের ভাড়া দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ কয়েকজন যাত্রীর। এমনই এক যাত্রী অভিযোগের সুরে বলেন,’ অনেকদিন হয়ে গেল এই রুটে আসা যাওয়া করছি। কিন্তু ভাড়া নিয়ে সম্প্রতি আমাদের খুব হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। পরিবহণ বিভাগের নির্ধারিত তালিকা ছাড়াই ভাড়া নিচ্ছে তারা। আর এর প্রতিবাদ করলেই অশ্লীল ভাষায় কটূক্তি শোনতে হচ্ছে। এমনকি রাস্তায় যত্রতত্র নামিয়েও পুরো ভাড়াই দাবি করছে তারা। ‘ সংস্থার কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণের পাশাপাশি কাজ না হলে জেলা পরিবহন অধিকারিককে অভিযোগ জানানোর সাথে সাথে আন্দোলন গড়ে তোলার হুমকিও দিয়েছেন তারা।
এই স্ট্যান্ডের তদারকির দায়িত্বে রয়েছে কাছাড় জেলা লাইট মোটর ভেহিকল ওনার এসোসিয়েশন। সংস্থার সম্পাদক ভোলানাথ যাদব বর্তমানে ব্যক্তিগত কাজে দিল্লিতে রয়েছেন। ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,’ আমাদের এখানকার ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে পরিবহন অফিস থেকেই। শিলচর থেকে লালা অবধি ভাড়া ৯০ টাকা নেওয়া হয়। হয়তো বা খুচরোর সমস্যার জন্য কখনও কখনও একশত টাকা নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া পেট্রোলের দামও তো বেড়েছে। তবে যদি কোনো চালক বর্ধিত হারে ভাড়া নিয়ে থাকে কিংবা যাত্রীদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করে থাকে তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব। আমাদের লিখিত অভিযোগ জানাতে হবে সেই গাড়ির নম্বর সহ।’
এদিকে জেলা পরিবহন আধিকারিক অংশুমান বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,’ কোনো অভিযোগ তো আমরা পাইনি। পেলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’