অনলাইন ডেস্ক : বরাকের অগ্রণী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিলচরের ড০ কালাম ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড এডুকেশনের বার্ষিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় রবিবার। স্থানীয় গান্ধী ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সূচনা হয় প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে। এতে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ কৃষ্ণেন্দু রায়, ইন্সটিটিউটের ফেকাল্টি সব্যসাচী দাস, সুপ্রতীক রায়, সুব্রত রায় প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথির ভাষণে কৃষ্ণেন্দু রায় বরাক উপত্যকার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতিতে কালাম ইন্সটিটিউটের অবদানের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মাত্র সাত বছরে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র যেভাবে উন্নতি করেছে, সেটা বজায় রেখে গেলে খুব কম সময়ে এই কেন্দ্রটি রাজ্যসেরা হতে পারবে। কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছনোর জন্য বেশকিছু শৈক্ষিক পরিকাঠামোগত প্রস্তাবও দেন কৃষ্ণেন্দুবাবু।
ড. কালাম ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড এডুকেশন ছাত্রছাত্রী গড়ার কাজে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে বরাক উপত্যকায়। এখান থেকে পড়ুয়ারা ভারতের বিভিন্ন স্থানে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেন শিক্ষক সুপ্রতীক রায়। তিনি জানান, সাত বছর আগে সব্যসাচী দাস ও তাঁর মনোবাসনা থেকে প্রতিষ্ঠানটি জন্ম নেয়। প্রথম বছর পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল মাত্র ১৬ জন। বর্তমানে ইন্সটিটিউটের বারোজন ফেকাল্টি রয়েছেন। পড়ুয়ার সংখ্যা ২১৬ ছাড়িয়েছে। আইআইটি, এনআইটি, নিট পরীক্ষা, আইএসআই, এনডিএ-র মত সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষার একমাত্র ভরসার স্থল এই ইনস্টিটিউট।
এ সন্ধ্যার দ্বিতীয় পর্বে প্রতিষ্ঠানের অন্যতম শিক্ষক সব্যসাচী দাস ছাত্র-শিক্ষক এবং অভিভাবকের মধ্যে সম্পর্ক ও সমন্বয়ের বিষয়ে আলোকপাত করেন। পরে সায়েন্স অলিম্পিয়াড ফাউন্ডেশনের এবছরের বিজ্ঞান ও গণিত পরীক্ষায় বিভিন্ন স্থানাধিকারীদের পদক এবং শংসাপত্র তুলে দেন অতিথিরা। সেইসঙ্গে ফেকাল্টি সদস্যদেরও সম্মাননা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে ছিল পড়ুয়া ও শিক্ষকদের সাংস্কৃতিক উপস্থাপনাও। দর্শক-শ্রোতাদের ভিড়ে ঠাসা হলে এদিনের অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুব্রত রায়।