অনলাইন ডেস্ক : ডিলিমিটেশনে বরাক বঞ্চনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় বিজেপি নেতারা শিলচরে এক সভায় মিলিত হয়ে যৌথ প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এরজন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি সমগ্র ঘটনাক্রম নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায়। শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রদীপবাবু বলেন, এই ডিলিমিটেশনের মাধ্যমে বরাক তথা রাজ্যের বাঙালিদের নিঃশেষ করার চক্রান্ত চলছে এবং এতে হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে বাঙালিরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। একই কথা উঠে এসেছে বিজেপি নেতাদের মুখেও। তিনি বলেন, বরাক তথা বাঙালিদের স্বার্থে এখন সবার একজোট হবার সময় এসেছে। বিজেপির স্থানীয় নেতারা যে এটি অনুধাবন করেছেন এবং এগিয়ে এসেছেন এটি শুভলক্ষণ।
প্রদীপবাবু বলেন, বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট গত তিন বছর ধরে বরাকের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। আগেও বিভিন্ন ইস্যুতে বরাককে বঞ্চনা করা হয়েছে। ভাষা আইন রক্ষার দাবিতে আন্দোলন হয়েছে। বরাকের ছেলেমেয়েদের সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে চূড়ান্ত বঞ্চনা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ও রেলদপ্তরের অনুমোদন থাকা সত্ত্বেও ভাষা শহিদ স্টেশন নামকরণ ইচ্ছাকৃতভাবে আটকে রাখা হয়েছে। কিন্তু এতদিন বরাক বিজেপির নেতারা এসব নিয়ে সম্পুর্ন নীরব ছিলেন। তিনি বলেন, বরাকের ভোটারদের প্রতি দায়বদ্ধতা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের প্রাথমিকতা হওয়া উচিত। তবে সবকিছুর পরও তিনি তাঁদের অভিনন্দন জানাচ্ছেন যে বিলম্বে হলেও অবশেষে তাঁদের বোধহয় হয়েছে। তবে এবার শুধু প্রতিবাদ করলেই চলবে না।
তিনি বলেন, বরাকের বিধায়করা এই ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়ার প্রতিবাদে একযোগে পদত্যাগ করুন। তাঁরা নিশ্চিন্ত থাকুন যে তাঁদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হবেনা। কিন্তু তাতে সরকারের উপর যথাযথ চাপ সৃষ্টি হবে এবং বরাকের ভোটারদের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা পালিত হবে। তিনি আরো বলেন, তাঁরা আশাবাদী যে বরাকের বাকি সমস্ত জ্বলন্ত সমস্যা নিয়েও অবিলম্বে বরাক বিজেপি একই ভাবে তাঁরা মুখ খুলবে এবং এসবের সমাধানে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করবে। এদিন তিনি ঘোষণা করছেন, ডিলিমিটেশন করে বরাক তথা বাঙালিদের রাজনৈতিক ক্ষমতা কেড়ে নেবার প্রতিবাদে আগামী ৩০ জুন, শুক্রবার সকাল পাঁচটা থেকে বিকেল পাঁচটা অব্দি সর্বাত্মক বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। তাঁরা আশাবাদী যে বরাকের সমস্ত দল, সংগঠন ও আপামর জনসাধারণ এই বনধ কর্মসূচিকে সম্পুর্ন সমর্থন করবেন ও সক্রিয় সহযোগিতার মাধ্যমে এই কর্মসূচিকে সফল করবেন।